বিধবা বা বয়স্ক ভাতার আকুতি নিয়ে শতবর্ষী কবেজা মৃত্যু কিশোরগঞ্জে।

 প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:৪৩ অপরাহ্ন   |   জেলার খবর


মোঃআবু তাহের নীলফামারী ব্যুরো প্রধানঃ


নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলোচিত বার্তা সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত বিতর্কিত / আলোচিত শতবর্ষী কবেজা বেগম এর মৃতুতে গভীর ভাবে শোকাহত সেই সাথে মরহুমার আত্তার মাগফিরাত কামনা করেন, প্রয়াত চেয়ারম্যান আজিজার মিঞা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ এইচ জাকারিয়া সাহেব।বড়ভিটা ইউনিয়নের শতবর্ষী বিধবা মহিলা মরহুমা কবেজা বেগম এর দাপনের কাপড় ও গোলাপ জল,আতর, আগরবাতি, সাবানের  ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, আল্লাহ যেন ওনাকে জান্নাতবাসী করেন মানুষ মরনশীল এ কথা সত্য এবং সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে -তবে এহেন মৃতু- যার বয়স ১০০ বছরের ও বেশি এবং যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিধবা ভাতা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড না পাওয়ার আকুতি নিয়ে মৃতু বরন- এ জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাহেব দ্বায় এড়াতে পারেন না। আসুন না আমরা সবাই মিলে এই সব অপশক্তি নাশ এবং সমস্ত অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে শুভ বোধ জাগরণের আহবান জানাই - আর যাতে এই উপজেলায় কাউকে আলোচিত কবেজা বেগম এর মতো বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড না পাওয়ার আকুতি নিয়ে মরতে না হয়। সেই সাথে নগদ অর্থসহয়তা করেন বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ মনজুরুল ইসলাম,  সেখানে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা দেলওয়ার রহমান গ্রন্থাগার কতৃপক্ষ, কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ রউফুল আলম, বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার  সাংবাদিক ও স্থানীয় এলাকাবাসি।


এ সময় সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম রাজু বলেন, কিশোরগঞ্জ থানাধীন বড়ভিটা ইউনিয়নের বাসিন্দা শতবর্ষী নারী কবেজা বেগম ইহোজগতে থাকাকালীন সময়ে মিললোনা তার বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড। শতবর্ষী এই নারীর এমন আকুতির কথা প্রকাশ করতে গত তিনদিন আগে” বিভিন্ন পত্র- পত্রিকার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় ফুঁটে উঠে ঐ বিধবা কবেজা বেগমের আকুতির চিত্র। যা দেখে এগিয়ে আসতে চাওয়া সমাজের মানুষদের মধ্য থেকে প্রয়াত চেয়ারম্যান আজিজার মিঞা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ এইচ জাকারিয়া সাহেব।  তিনি ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালবেলা ঐ বিধবা নারীকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করার দিন ধার্য করেন। কিন্তু এই বিধবা নারী পারলেননা সেই সহায়তা গ্রহন করতে। তার আগেই আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ ঘটিকার দিকে ইহোজগত ত্যাগ করে চলেগেলেন না ফেরার দেশে। সহায়তার ঐ টাকা থেকে মরহুমার দাপন-কাপনের ব্যবস্থা করা হয়। সমাজের এমন দুস্থ্য অসহায় শ্রেণীর মানুষদের পাশে থেকে একটু আলোর সন্ধান দিতে পারছিলো বলে নিজেকে পরিপূর্নতার বরে ভাবছিলেন ঐ সকল মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা।  যারা এই নারীর আকুতির চিত্রকে ফুঁটিয়ে তুলতে পেরেছিলো তাঁদের লিখুনীর মাধ্যমে।

জেলার খবর এর আরও খবর: