হুইপপুত্র শারুনকে নিয়ে চটকদার শিরোনাম, প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা।
স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ পলাশ হাওলাদার হাছিবঃ
বাংলাদেশ প্রতিদিন ও কালের কণ্ঠ পত্রিকায় হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীকে নিয়ে যে নিউজটি প্রকাশ করেছে তার বেশকিছু তথ্য অদ্ভুতভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ। একজন প্রতিবেদক কিছুতেই কোনো ঘটনার বিচার করে রায় দিয়ে দিতে পারেন না।
হুবহু একই শিরোনামে দেশের স্বনামধন্য দুই পত্রিকায় ‘লাইন বাই লাইন’ তুলে দেওয়া হয়েছে। আরও অবাক করা বিষয় হল, দুটি সংবাদের ক্রেডিট লাইন ভিন্ন। দুই পত্রিকার একটিতে প্রতিবেদক যিনি তিনি ওই পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি। সেখানে তার নাম দেওয়া আছে। আরেকটির ক্রেডিট লাইনে আছে নিজস্ব প্রতিবেদক। অথচ দুটো সংবাদ ছাপা হয়েছে হুবহু। এক পত্রিকার বিশেষ সংবাদ আরেক পত্রিকা হাউজে একসঙ্গে গেলই বা কি করে? এমন সাংবাদিকতা বিশ্ব বিরল!
নিউজের শিরোনাম হল, ‘হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার’ (কালেরকণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ১৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে প্রকাশিত, বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইমে ১৩ এপ্রিল প্রকাশ করেছে)
কিন্তু উভয় সংবাদপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সাংবাদিক নিজেই ভূল তথ্য উপস্থাপনা করেছেন।
কারণ, হলুদ সাংবাদিকদের মুখোশ উন্মোচন এর দাবি জানাচ্ছি। এবং বানোয়াট কাহিনী গল্প কথা
বাদীকে হলুদ সাংবাদিকের করা প্রশ্ন ও উত্তর শুনলেই বুঝে যাবেন।
নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ.
মোর্শেদের স্ত্রী ইশরাত (বাদী) বলেন, ‘শারুনের সঙ্গে সরাসরি আমার স্বামীর কোনো লেনদেন ছিল না। মোর্শেদের সঙ্গে সরাসরি লেনদেন না থাকলেও শারুন চৌধুরী, বাচ্চু ও রাসেল কেন এ রকম টর্চার করল, তার জবাব মিলছে না।’'
একটু খেয়াল করুণ - যেখানে মোর্শেদ সাহেবের স্ত্রী নিজেই বলছেন শারুন চৌধুরীর সাথে তার স্বামীর কোনো লেনদেন ছিলো না, তাহলে সাংবাদিক কিভাবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে একজন মেধাবী রাজনৈতিক ব্যক্তির অবস্থানে হিংস্রপরায়ন হয়ে, সম্পূর্ন উদ্দেশ্যগত ভাবে সংবাদ পরিবেশন করে।
আর যে টর্চার এর প্রশ্ন করলো সেটা সম্পূর্ন সাজানো, কারণ কোনো কিছু সাজাতে গেলে এতোটুকু কল্পকাহিনী বুঝার ক্ষমতা আমাদের সকলের হয়েছে।
পরকথা,
ইশরাত বলেন, শারুন চৌধুরী কেন উপর্যুপরি সক্রিয় হলেন, এই নিয়ে জানতে মোর্শেদই একদিন প্রশ্ন করেছিলেন। সেই প্রশ্নে শারুণ তখন জবাব দিয়েছিলেন, ‘সরাসরি লেনদেন আমি করিনি। পারভেজের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছি।’"
.
শারুন চৌধুরীর বক্তব্য একদম স্পষ্ট, সে বলেই দিয়েছে আমি সরাসরি লেনদেন করিনি, আমি বিনিয়োগ করেছি।
শারুন চৌধরী তার মেধা,মনন এবং অধ্যবসায়ে যেমন রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্লীন ইমেজে বজায় রেখেছে, তেমনি ব্যবসায়িক ভাবেও সততার সাথে নিজের যোগ্যতায় চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এর সুনামধন্য সম্মানিত পরিচালক।
সুতরাং, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে সে বিনিয়োগ করতেই পারে।
বিনিয়োগ করার পর কোনো দেনাদার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে কি তার দ্বায়ভার ব্যবসায়ীর উপর পরে?
সুতরাং,অসংযম, অসহিষ্ণুতা, অসত্য, শঠতা, ভন্ডতা, ভীরুতা, পাশবিকতা, উগ্রতা, বর্বরতা যখন প্রকাশ পায় তখন এই ভাবেই জাতির মেধাবী সন্তানদের সম্পর্ক কু-হীন তথ্য ছড়িয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়।
অন্তত প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে 'জ্ঞানপাপী' শব্দটির চিন্তা করা দরকার ছিল সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারকে। চাকরী জন্য এমন মিথ্যাকে সত্য বানানোর অপচেষ্টাই অপ-সাংবাদিকতার চর্চাকেও হার মানিয়েছে বলে মনে করি। লজ্জা হচ্ছে আমাদের—খুবই।
হলুদ সাংবাদিকতা এবং পেইড এজেন্টদের ভিত্তিহীন, তথ্যহীন, প্রমানবিহীন নিউজ করে প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আপনার দূরদর্শিতা ও সততার গুনাবলীর মাধ্যমে এসব ষড়যন্ত্রের বিষদাত উপড়ে ফেলা উচিত।