গোপালগঞ্জ এর কৃতিসন্তান আব্দুস সালাম খান এর জিবনী।

 প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন   |   অর্থ ও বাণিজ্য


 

আব্দুস সালাম খান পূর্ব বঙ্গ আইন পরিষদ-এর সদস্য ছিলেন তার ব্যক্তিগত বিবরণ তুলে ধরা হলো।

# আব্দুর সালাম খান এর জন্ম ১৯০৬ সালে বেজড়া গ্রাম মুুুুকসুদপুুর, গোপালগঞ্জ 

# মৃত্যু ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ (বয়স ৬৫–৬৬)


রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ


আবদুস সালাম খান (১৯০৬ - ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২) ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ এবং পূর্ব পাকিস্তান বঙ্গ আই পরিষদের সদস্য ।


 [১] তিনি পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৬৯ সালের অভ্যুত্থানে জড়িত ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান প্রতিরক্ষা আইনজীবী হিসেবে পরিচিত


প্রথম জীবন

সালাম ১৯০৬ সালে পূর্ব বাংলা ব্রিটিশ ভারতের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৯ সালে তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর শেষ করেন । তিনি ১৯৩১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং আইন বিষয়ে স্নাতক পড়াশোনা শেষ করেন


 [২] পেশা

আইনজীবী হিসাবে সালাম খান তার পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন। তিনি মুসলিম লীগ দিয়ে এবং পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। মতবিরোধের কারণে তিনি মুসলিম লীগ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ১৯৪৯ সালে তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগদান করেন এবং লীগের কার্যনির্বাহী কমিটিতে নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি যুক্তফ্রন্ট থেকে পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হন। 


[৩] ১৯৫৫ সালে খানকে গণপূর্ত ও যোগাযোগের প্রাদেশিক মন্ত্রী করা হয়। তার আমলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ আওয়ামী লীগের নামকরণের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি তার নিজস্ব দল গঠন করেন, যা আওয়ামী মুসলিম লীগ নামটি ধরে রেখেছে। তিনি ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত নতুন আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৬ সালের ১১ জুলাই তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৬০ সালে তাকে নির্বাচনী সংস্থা অযোগ্যতা আদেশের অধীনে পাকিস্তানের নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছিল। 


[৪] ১৯৬৪ সালে পার্টি পুনরুদ্ধারের পর সালাম খানকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়। ১৯৬৬ সালের ১৯ মার্চ তিনি ঢাকার ইডেন হোটেলে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সভার উদ্বোধন করেন। সভায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। ১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে তিনি পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান প্রতিরক্ষা আইনজীবী ছিলেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৬৯ সালের অভ্যুত্থানে জড়িত ছিলেন। ১৬৬৯ সালে তিনি নুরুল আমিনের পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যোগ দেন। তিনি দলটির প্রাদেশিক ইউনিটের সভাপতি নির্বাচিত। 


[৫] মৃত্যু সালান ১৯৭২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মারা যান।

অর্থ ও বাণিজ্য এর আরও খবর: