মিয়ানমারে রাস্তায় রাস্তায় সেনাবাহিনীর টহল

 প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন   |   আন্তর্জাতিক


আলোচিত বার্তা ডেস্কঃ

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিন্টকে আটকের পর দেশটির বড় শহরগুলোতে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। রাজধানী নাইপিদো এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নাইপিদোতে টেলিফোন এবং ইন্টারনেট লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। খবর বিবিসি’র 

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে সু চি এবং উইন মিন্টসহ এনএলডির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আটক করা হয়েছে। সৈন্যরা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের ধরে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র মায়ো নিউন্ট সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, `অং সান সু চি, রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট এবং অন্য শীর্ষ নেতাদের সোমবার ভোরে আটক করা হয়েছে। আমাদের ধরে নিতে হবে যে সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে।` তিনি আরো বলেন, আমি জনগণকে উত্তেজিত প্রতিক্রিয়া না দেখানোর আহ্বান জানাই। তারা যেন আইন অনুসারে প্রতিক্রিয়া জানায়।

গত বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। সেনাবাহিনী নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বসতে যাওয়া সংসদ অধিবেশন বাতিলের দাবি জানায়। এবার সেই অভিযোগেই অভিযান চালিয়ে সু চিসহ এনএলডির শীর্ষ নেতাদের আটক করা হল।

এর আগে, সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধী জোট নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। নির্বাচনে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের ভোটারদের ভোট বঞ্চিত করার সমালোচনা করেছিল মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। তাদের দাবি নির্বাচনে ৮.৬ মিলিয়ন ভোট কারচুপি হয়েছে।

গত সপ্তাহে সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইয়াং যৌক্তিকভাবে নির্বাচনের জালিয়াতিকে চিহ্নিত করেছেন। নির্বাচনে প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে মিয়ানমারে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধান না হলে ‘ব্যবস্থা নেওয়ার’ পরিকল্পনা আছে তাদের। এটি কি অভ্যুত্থান হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ‘সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না’ বলে মন্তব্য করলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

এরপর গত শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও মিয়ানমারে অবস্থিত পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাস দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে সেনা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানায়। যদিও পরের দিনই দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে অভ্যুত্থানের আশঙ্কা নাকচ করে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সংবিধান মেনে আইন অনুযায়ী কাজ করবে।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর: