আসুন আমরা সবাই সচেতন হই ও সরকারি নিয়ম মেনে চলি আল্লাহকে স্মরণ করি।

 প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২০, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন   |   সাক্ষাৎকার


আব্দুল জব্বার, ঝিকরগাছা, যশোর ঃ

করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় সমগ্র বিশ্ব আজ স্থবির ভাবে কেন জানি স্থাপ্ধ। বিশ্বের শক্তিধর, ক্ষমতাশালী, ধনী রাষ্ট্র থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত রাষ্ট্রগুলো করোনার ভয়াল ছোবলে অসহায় হয়ে পড়েছে।


গুজব আর অন্ধ বিশ্বাসী

বাংলাদেশীরা করোনার নিকট অসহায় আত্নসমর্পণের দ্বারপ্রান্তে। সরকারের শতভাগ আন্তরিকতা, এমপি -মন্ত্রী, নেতা-কর্মী, সেনা বাহিনী, পুলিশ, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি,সাংবাদিক এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ সচেতন জনতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সত্বেও অনেকটা দাওয়াত দিয়ে মরণঘাতী এ ভাইরাসটিকে কেন যেন ঘরে আনছে মানুষ।

মানুষের উগ্রতা, অন্ধ ধর্মীয় বিশ্বাস, উদাসীনতা, অসচেতনতা ইতিমধ্যেই এদেশে মহামারী ও মানবিক বিপর্যয়ের চরম বার্তা প্রদান করছে। এদেশের মোট জনগণের খুব ছোট একটা অংশ করোনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পারলেও বাকীরা অক্ষম কিংবা একে গুরুত্বহীন মনে করে বিষয়টিকে চরমভাবে হেলায় শেষ করছে। যেখানে ইতিমধ্যেই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশে করোনার ভয়াবহতা নিয়ে চরমবার্তা পাঠিয়েছে আমাদের দেশের প্রতি। তাদের বার্তা যে কতটুকু সত্য তা গ্রামের বাজার, বিভিন্ন মোড়, গ্রাম্য দোকান, খেলার মাঠ, চায়ের স্টল, পাবলিক পরিবহনের দিকে তাকালেই বুঝা যায়।

গ্রামের অনেক স্থানে কলেজ – বিশ্ব নিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের দলে দলে ঘুরাফেরা, দলবেঁধে তাস খেলা, ক্রিকেট, ফুটবল খেলা, গানবাজনা ও আড্ডা দেখে বুঝার উপায় নাই যে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস নামক মরণঘাতী কোন ভাইরাসের অস্তিত্ব আছে। গ্রামের মুরব্বিদের এ ব্যাপারে সচেতন করতে গেলে তারা হাসাহাসি, পাল্টা বাক্যবান, ধর্মীয় বাক্যবাণ ছুঁড়ে মারে ।

সারাদেশের আনাচে কানাচে আবার জুয়া, মদ, মাদক বানিজ্য, ধর্মীয় গুরুদের অপ্রচার তো চলছেই। তাছাড়া গ্রামের শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, মধ্যবয়সী,বৃদ্ধ কারো যেন করোনার ব্যাপারে আগ্রহ নেই। যেখানে সরকার করোনার ভয়াবহ ছোবল থেকে জাতিকে রক্ষায় লকডাউন, জীবাণু নাশক স্প্রে করা, জনগণকে ঘরের বাইরে না যাওয়া, দরিদ্রদের ঘরে ঘরে খাদ্য সরবরাহ, প্রয়োজনীয় ঔষধ, পানীয়ের ব্যবস্থাসহ সকল জিনিস ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে সরকার।

এতকিছুর পরও বিভিন্ন হাঁটে বাজারে, রাস্তার মোড়ে প্রতিনিয়ত জনতার ভীড় সত্যিই দূর্ভাগ্যজনক।

সর্বশেষ আপনাদের দোয়া প্রার্থনা করি ভল থাকবেন,আল্লাহর স্মরণ করুন,সকলেই নামায পড়ুন


(সাংবাদিক) আব্দুল জব্বার।

সাক্ষাৎকার এর আরও খবর: