গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে এ ঘোষণা দেন মেয়র মির্জা।
এক মিনিট পঁচিশ সেকেন্ডের সংক্ষিপ্ত লাইভে কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর রাজনীতিতে চলমান সংকট নিরসনের সকলের আস্থার শেষ ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি নেত্রীর সিদ্বান্তের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে আমার ইতঃপূর্বে ঘোষিত সকল ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলাম।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদের এর হস্তক্ষেপে অতি শিগগির ত্যাগী মনোভাবসম্পন্ন নেতারা যথাযোগ্য মূল্যায়ন পাবে এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনায় আসেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এই নেতা। বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ওবায়দুল কাদের এর ছোট ভাই।
আবদুল কাদের মির্জা জেলার ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, পরিদর্শক’সহ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ জানান দেন। একই সঙ্গে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনী-২ আসনের সংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী বিরুদ্ধে অপরাজনীতি, টেন্ডার-বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্য বন্ধসহ বিভিন্ন অভিযোগ করে তার বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন তিনি।
বেশ কয়েকদফা হরতাল, মিছিল, অবস্থান ধর্মঘটের মত কর্মসূচীর পর অবশেষে গতকাল তার ইতি টানেন কাদের মির্জা।