নীলফামারীতে মাল্টা চাষে সফল হয়েছেন পল্লী চিকিৎসক
নুরল আমিন রংপুর ব্যুরোঃ
মাল্টা চাষে সফল হয়েছেন নীলফামারী সদর লক্ষীচাপ ইউনিয়নের দাড়িহারা গ্রামের মৃত্যু-মাহিন্দ্র রায়ের ছেলে পল্লী চিকিৎসক ধনেশ্বর রায় (৬০)। তিনি তিন বছর থেকে মাল্টা চাষ করেন,প্রতিবছরের নেয় এবারও ৫বিঘা জমিতে ৫৬৪টি বারি-১ জাতের চারা লাগান। মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। মাল্টা চাষে আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হয়েছেন তিনি।তার সফলতার কারনে অনেকে ঝুঁকছেন মাল্টা চাষে।
সেপ্টেম্বর মাস থেকে মাল্টা বিক্রি শুরু হয়েছে,এবার যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয় হবে বলে জানান তিনি। মাল্টা অনেক মিষ্টি ও সু-স্বাদু হওয়ায় বাজরের চাহিদা অনেক বেশী। এ জেলায় মাল্টা চাষ তেমন নেই। মাল্টা বাগান দেখার জন্য প্রতিদিন স্থানীয়রা ভীর জমান।
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তি রতন রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মাল্টার বাম্পার ফলন হওয়ায় দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। খাইতে মিষ্টি ও সু-স্বাদু। বাজারে চাহিদা বেশী, লাভ অনেক। তাই আমি আশা করছি এবার ৫ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করবো। এভাবে এই এলাকার কৃষকরা মাল্টা চাষ করলে সকলে লাভবান হবে।
মাল্টা চাষী পল্লীচিকিৎসক ধনেশ্বর রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি এবারও ৫ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করছি। মাল্টা বিক্রি শুরু করছি, আমি আশা করছি যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে আমার প্রায় ৩ লক্ষ টাকা লাভ হবে। মাল্টা চাষ করার পর থেকে আমার পরিবারের অভাব অনটন কিছুই নেই। মাল্টা বিক্রি করে আমি আমার পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আয় জমা রাখতে পারছি।
কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা জ্যোতিষ রায় বলেন,কৃষি অফিস থেকে আমি ৬০টি চারা দিয়েছি। আর বাকীগুলো তিনি নাসার্রী থেকে ক্রয় করেছেন। মাল্টা বাগানে সব সময় খোঁজ খবর রাখি। কৃষককে যখন যে পরামর্শ দেওয়ার দরকার তখন সে পরামর্শ দেই। মাল্টা বাগান যেনো রোগমুক্ত থাকে সেভাবে তদারকি করি।
জেলা কৃষি অফিসার ড. আবু বকর সাইফুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এ জেলার মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। মাল্টা চাষে লাভ জনক ফসল হওয়ায় আমরা চাষীদেরকে উদ্ভুদ্ধ করে থাকি। যারা মাল্টা চাষ করেছেন তাদের ফসলের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য কৃষি উপসহকারী কৃষি কর্মকতার্রা কৃষকের দাড়প্রান্তে গিয়ে পরামর্শ দেন।