সরকারি ভূমির বৃক্ষ কর্তন করে পূর্বের মাঠ উদ্ধার
জায়েদ আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হীড বাংলাদেশ এর ভূমিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলেমান হোসেন ভুট্টু ও আব্দুল মতিন কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন এর বাঘমারা গ্রামে সরকারি ভূমিতে প্রায় ১২০শতক জমিতে বনজ ও ফলজ বৃক্ষ রোপন করে প্রায় ১৫ বছর আগে।
গত রোববার ( ১০ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে অপরিপক্ক গাছ কর্তন করে মাঠ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় এলাকার প্রবীণ মুরব্বি ফরিদ মিয়া ও আবদুল মিয়া বলেন, আমাদের জানামতে এই জায়গাগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমি, যা হীড বাংলাদেশ দেখাশোনা করে আসছে। এই ভূমি গুলো পরিত্যক্ত থাকায় মৌখিক ভাবে হীড বাংলাদেশ এর কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে ফলজ ও বৃক্ষগাছগুলো স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলেমান হোসেন ভুট্টো ও আব্দুল মতিন রোপণ করে ভোগ দখল করে আসছেন। আবদুল মিয়া আরও বলেন আমি নিজেও ৩০০-৩৫০ শতাংশ ভূমি ভোগ দখল করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি তবে সরকার যখন চাইবে তখন আমি ছাড়তে বাধ্য।
এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, এখানে খেলার কোনো মাঠ ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দা মুছা মিয়ার দখলীয় পরিত্যক্ত ভূমিতে স্থানীয় শিশু ও কিশোরদের খেলাধূলার আবদারের কারণে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, ইউপি সদস্য সুলেমান হোসেন ভুট্টো ও আব্দুল মতিন সরজমিনে পরিদর্শন পূর্বক মুছার দখলিও পরিত্যাক্ত ভূমিটি খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহারের জন্য বুঝিয়ে দেন। এই মাটিতে স্থানীয় যুবকরা প্রায় ২ বছর পরে খেলাধুলা করে আসছিল। এরই মধ্যে মুছা মিয়া জায়গাটি পুনরায় দখল করে লেবু বাগান করে জায়গাটি নিজ দখলে নিয়ে যায়।
অপরদিকে স্থানীয় শফিকুল ইসলাম বলেন, এই জায়গায় পূর্বে মাঠ ছিলো এবং এই মাঠে অনেক বড় বড় টুর্নামেন্ট খেলাও অনুষ্ঠিত হয়েছে যা এলাকাসহ আশপাশের অনেকেই জানেন। এলাকার মানুষ এবং আশপাশের সকলেই জানেন এখানে মাঠ ছিলো। পরবর্তীতে এই মাঠে গাছ রোপন করে নিজ দখলে নেন ইউপি সদস্য সোলেমান হোসেন ভুট্টু এবং আব্দুল মতিন। ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের উপস্থিতিতে আমরা ৩০-৪০ জন স্থানীয়রা গাছ কেটে মাঠ উদ্ধার করেছি।
এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন মাঠ উদ্ধারের জন্য আমরা প্রশাসনের নিকট দরখাস্ত দিয়েছি এবং এ বিষয়ে প্রশাসন সহ অনেকেই অবগত আছেন। এলাকার সকল মানুষের সহযোগিতায় আমরা মাঠ উদ্ধার করেছি।
ভূমি ও রোপিত বৃক্ষের দাবিদার ইউপি সদস্য সোলেমান হোসেন ভুট্টো ও মতিন মিয়া বলেন, সম্প্রতি সরকারের পট পরিবর্তনের কারণে স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম সহ কয়েকজনের নজর পড়ে উক্ত ভূমি ও বৃক্ষের প্রতি । তারা স্থানীয় যুবকদের মাধ্যমে এই টিলা রকম ভূমিটিকে পূর্বের খেলার মাঠ দাবী করে সংঘবদ্ধ করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে মাঠ উদ্ধারের জন্য লিখিত আবেদন করে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সরকারি ভূমিতে অবৈধ ভাবে যারা গাছ রোপন করেছেন তারা অবশ্যই অপরাধ করেছে। অপরদিকে যারা গাছ কর্তন করেছে তারাও অপরাধ করেছেন। আমি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবগত করেছি তিনি গাছগুলো উদ্ধার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।