বেনাপোলে বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম এর লাশ ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলণ
মনা,যশোর শার্শা প্রতিনিধিঃ
ময়না তদন্তের জন্য দীর্ঘ আড়াই বছর পর বেনাপোলের বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম এর লাশ উত্তোলণ। বেনাপোল পোট থানার মামলা নং ২০ তাং ১৮/১১/২৪ ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৫৪ পেনাল কোড ( ঘটনার তারিখ ১৫/০৮/২০২২) সংক্রান্তে নিহত ভিকটিম বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম(৪৫) এর লাশ বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে শার্শার এসিল্যান্ড নুসরাত ইয়াসমিন এর উপস্হিতিতে বুধবার(১৫/০১/২৫) ইং তারিখ দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পারিবারিক কবরস্থান হতে উওোলণ করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য এ্যাম্বুলেন্সে করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট বেনাপোল বাজারস্থ মিলন মার্কেটের ছাদের উপর বেনাপোল পৌর বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দেন বেনাপোল পৌরসভাধীন নামাজ গ্রামের বিএনপি নেতা আব্দুল আলিম সহ আরও অনেকে। ঐ দিন বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হত্যা মামলার আত্মসমর্পণকারী ১১ আসামী ছাড়াও তাদের সঙ্গীরা সেখানে হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ব্যাপক মারধর করে এবং সেখানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমার হামলায় গুরুতর আহত আব্দুল আলিমকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় একমাস সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ সেপ্টেম্বর/২০২২ ইং তারিখ সকালে তিনি(আব্দুল আলীম) মারা যান। এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর নিহতের স্ত্রী হাছিনা খাতুন ৬৫ জনকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আব্দুল আলিম হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগের ১১ কর্মী গত ৮ জানুয়ারী/২০২৫ ইং তারিখ আদালতে আত্মসমর্পণ করে। এ সময় তারা আদালতে জামিনের আবেদনও জানায় কিন্তু সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আত্মসমর্পণকারীরা হলো-বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বড় আঁচড়া গ্রামের মৃত মইন উদ্দিনের ছেলে আফিল উদ্দিন ঘেনা, সোহাগ মোল্লার ছেলে সজল, ছোট আঁচড়া গ্রামের শফি মোড়লের ছেলে মোহাম্মদ আলী, ভবেরবেড় গ্রামের বাবলার ছেলে সাব্বির হোসেন, মৃত শামছুজোহার ছেলে নুরুজ্জামান, আব্দুল জলিল শেখের ছেলে শাকির, মৃত করিমের ছেলে মোহাম্মদ মন্ডল, পুটে আহম্মেদের ছেলে আয়ুব খান, গাজীপুর গ্রামের মজনু ফকিরের ছেলে শফি, গাতিপাড়া গ্রামের তাইজেলের ছেলে সেলিম ও মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আলিমুর।
লাশ উত্তোলনের বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে এসিল্যান্ড নুসরাত ইয়াসমিন ময়না তদন্ত শেষে জানাবেন বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
নিহত আব্দুল আলীমের জামাতা সোহেল রানা বলেন,শশুর আব্বাজানের উপর যাঁরা অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বেনাপোল পৌর ছাত্রদল আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন,আব্দুল আলীম চাচা বিএনপি'র একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন,তিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। তিনি ছিলেন একজন সৎ ও দেশ প্রেমিক মানুষ্,তাইতো তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে নিয়ে সারাজীবণ বিএনপি করে গেছেন। ২০২২ সালের ১৬ আগষ্ট বেনাপোল বাজারস্থ মিলন সুপার মার্কেটে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে অংশ নিলে হত্যাকারীরা তার উপর বোমা নিক্ষেপ করে এবং পিটিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। একমাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ১৫সেপ্টেম্বর/২০২২ ইং তারিখ মারা যান। ঐ হামলায় নিজেও আহত হন বলে পৌর এই ছাত্রদল নেতা জানান।
লাশ উত্তোলনে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পোর্টথানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো.রাসেল মিয়া এবং এসআই মোস্তাফিজুর রহমান সহ থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।