দু'কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে বাবা-ছেলে আহত।
তাসনিয়া হাসান অর্পিতা, বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনায় রাস্তায় চলাচলে ধাক্কা লাগার বিরোধের সুত্র ধরে স্কুল পড়ুয়া দুই কিশোর গ্রুপের সংঘর্ষে বাবা ও ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে লিমন নামের এক কিশোরকে আহত অবস্থায় বরগুনা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার বাবা আলিম আকনকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্হানীয়দের কাছ থেকে জানাগেছে, বুধবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের উত্তর ইটবাড়িয়া এলাকায় রাস্তায় মধ্যে শরীরে ধাক্কা লাগায় ওই দুই কিশোর গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজ সেবকদের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে সালিশে বসেন ওই দুই কিশোর গ্রুপ ও তাদের অবিভাবকরা। সালিশে লিমন ও আসিফ নামের দুই কিশোরকে ১০টি করে বেত্রাঘাত ও তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আসিফের অপরাধের তুলনায় শাস্তি কম হয়েছে দাবী করে তার বাবা আসিফকে মারতে উদ্যত হলে আসিফ দৌড়ে বাহিরে এলে বাবা পিছনে ধাওয়া করে। এসময় বাহিরে অপেক্ষমান অপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হামলা করলে লিমন ও তার বাবা রক্তাক্ত জখম হয়। অন্যতম শালিসিদার কদমতলা বাজার কমিটির সভাপতি শাজাহান মুন্সি বলেন, সালিশের রায় অনুযায়ী ১০ বেত্রাঘাত শাস্তির পর লিমন ও আসিফ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যাওয়ার পথে দুই গ্রুপের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ ফেরাতে গিয়ে কিশোর আসিফের বাবা মো. আলিম আকন ও কিশোর আসিফ গুরুতর আহত হয়।
দুই গ্রুপের মধ্যে রয়েছে মিল্টন, অপু, তোফায়েল, রিয়াজ, ইমন, মেহেদী, মিদুল, শাহরিয়ার, হৃদয়, আসিফ, লিমন, সজিব, রনিসহ আরো অনেকে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘ বন্ধের পর স্কুল-কলেজ খোলার কিছু দিনের মধ্যে কিশোর গ্রুপের দুই পক্ষের বিরোধ-সংঘর্ষে এলাকাবাসী, অভিভাবক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।স্হানীয় অনেকে অভিযোগ করেন,সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জেরধরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র বিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।