নাটোরে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া বোনের পরিচয়ে দিয়ে ভাতাদি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

 প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন   |   অপরাধ ও আইন


বড়াইগ্রাম নাটোর প্রতিনিধি নাটোরের বড়াইগ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম  ব্যবহার  করে ভুয়া বোন পরিচয়ে পেনশনভাতা ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহীদ সেনাসিপাহী আব্দুল জলিল সিপাহীর পরিবার। রবিবার (২৯ জুন) দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়ারী গ্রামে শহীদ সেনাসিপাহীর একমাত্র বোন মোছাঃ আমেনা বেগমের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শহীদ আব্দুল জলিলের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ভাগ্নের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমার নানা (মায়ের মামা) শহীদ আব্দুল জলিল সিপাহী জোয়ারী গ্রামের মৃত সারাফত উল্লাহর সন্তান। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে সম্মুখযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী তাঁর পরিচিতি নম্বর—৩৯৩৯৩৭৩ এবং সশস্ত্র বাহিনী শহীদ গেজেট নম্বর—৫৫২।” তিনি আরও জানান, শহীদ জলিল সিপাহীর মা মোছাঃ সবজান বেওয়া ১৯৭৩ সালে সেনা সদর দপ্তর থেকে এককালীন এক হাজার টাকা প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে শহীদ সিপাহীর একমাত্র বোন আমেনা বেগমের মৃত্যু হয়। তিনি পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। এই সুযোগে উপজেলার পার্শ্ববর্তী কৈডিমা গ্রামের মৃত সরাফত আলী ও গোলাপজান বেগমের কন্যা মোছাঃ পরিনা বেগম শহীদ জলিলের ভুয়া বোন পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “পরিনা বেগম এবং তাঁর পরিবার রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করেছে, শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করেছে। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও দুঃখজনক।” সংবাদ সম্মেলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁরা ইতিপূর্বে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, জেলা প্রশাসক, ইউএনও অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকর সমাধান পাননি। তারা ভুয়া পরিচয়ে ভাতা ভোগ করা ব্যক্তির সকল সুবিধা বাতিল ও প্রকৃত উত্তরাধিকারীদের স্বীকৃতি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল জলিলের নামে স্মরণিকা স্থাপন বা সড়ক/প্রতিষ্ঠান নামকরণের দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন ওই গ্রামের আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরু মিয়া। তিনি বলেন, “আমেনা বেগমই শহীদ আব্দুল জলিলের একমাত্র বোন ছিলেন। পরিনা বেগমকে আমরা চিনি না। শহীদ পরিবারের প্রকৃত উত্তরাধিকারীরাই ভাতা পাওয়ার ন্যায্য দাবিদার।” সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ জলিল সিপাহীর বোন আমেনা বেগমের ছেলে মোঃ খোদা বক্স ও মোঃ আব্দুল মজিদ, প্রবীণ গ্রামবাসী মোঃ আফাজ উদ্দিন খামারু, মোঃ আব্দুল আউয়াল, মোঃ আব্দুস সামাদ সরদারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।  নাটোরে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া বোনের পরিচয়ে দিয়ে ভাতাদি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন স্টাফ রিপোর্টার  নাটোরের বড়াইগ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম  ব্যবহার  করে ভুয়া বোন পরিচয়ে পেনশনভাতা ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহীদ সেনাসিপাহী আব্দুল জলিল সিপাহীর পরিবার। বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়ারী গ্রামে শহীদ সেনাসিপাহীর একমাত্র বোন মোছাঃ আমেনা বেগমের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শহীদ আব্দুল জলিলের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ভাগ্নের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমার নানা (মায়ের মামা) শহীদ আব্দুল জলিল সিপাহী জোয়ারী গ্রামের মৃত সারাফত উল্লাহর সন্তান। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে সম্মুখযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী তাঁর পরিচিতি নম্বর—৩৯৩৯৩৭৩ এবং সশস্ত্র বাহিনী শহীদ গেজেট নম্বর—৫৫২।” তিনি আরও জানান, শহীদ জলিল সিপাহীর মা মোছাঃ সবজান বেওয়া ১৯৭৩ সালে সেনা সদর দপ্তর থেকে এককালীন এক হাজার টাকা প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে শহীদ সিপাহীর একমাত্র বোন আমেনা বেগমের মৃত্যু হয়। তিনি পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। এই সুযোগে উপজেলার পার্শ্ববর্তী কৈডিমা গ্রামের মৃত সরাফত আলী ও গোলাপজান বেগমের কন্যা মোছাঃ পরিনা বেগম শহীদ জলিলের ভুয়া বোন পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “পরিনা বেগম এবং তাঁর পরিবার রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করেছে, শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করেছে। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও দুঃখজনক।” সংবাদ সম্মেলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁরা ইতিপূর্বে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, জেলা প্রশাসক, ইউএনও অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকর সমাধান পাননি। তারা ভুয়া পরিচয়ে ভাতা ভোগ করা ব্যক্তির সকল সুবিধা বাতিল ও প্রকৃত উত্তরাধিকারীদের স্বীকৃতি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল জলিলের নামে স্মরণিকা স্থাপন বা সড়ক/প্রতিষ্ঠান নামকরণের দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন ওই গ্রামের আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরু মিয়া। তিনি বলেন, “আমেনা বেগমই শহীদ আব্দুল জলিলের একমাত্র বোন ছিলেন। পরিনা বেগমকে আমরা চিনি না। শহীদ পরিবারের প্রকৃত উত্তরাধিকারীরাই ভাতা পাওয়ার ন্যায্য দাবিদার।” সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ জলিল সিপাহীর বোন আমেনা বেগমের ছেলে মোঃ খোদা বক্স ও মোঃ আব্দুল মজিদ, প্রবীণ গ্রামবাসী মোঃ আফাজ উদ্দিন খামারু, মোঃ আব্দুল আউয়াল, মোঃ আব্দুস সামাদ সরদারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অপরাধ ও আইন এর আরও খবর: