মানিকগঞ্জে প্রসংশা কুড়াচ্ছে নারিকেরের খলফার নৌকা।

 প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন   |   জেলার খবর


মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, মোঃ- আরিফুর রহমান   অরিঃ

‘নারিকেলের খলফা দিয়ে নৌকা’ বানিয়ে   তাক লাগিয়ে দিয়েছে মানিকগঞ্জের ঘিওরের গোলাপ নগর গ্রামের উচ্চমাধ্যমিক এর একজন ছাত্র রিমন আহমেদ সুমন । মানিকগঞ্জে ক্ষুদে বিজ্ঞানী রিমন আহমেদ সুমন তৈরি করেছে জ্বালানী বিহীন ব্যাটারি চালিত নৌকা। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে জ্বালানি বিহীন চার্জ বেল ব্যাটারি দিয়েও নৌকা বানানো সম্ভব তা তিনি প্রমান করেছেন।



নারিকেলের খলফা, মটরের মেশিন, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, হাল ও স্টীলের পাখা সমন্বয়ে গঠিত নৌকা। যা তাক লাগিয়ে দিয়েছে এলাকার সবাইকে। 


নৌকাটি দেখতে প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানিকগঞ্জের গোলাপ নগর  এলাকায় তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য দর্শনার্থী।




কলেজ ছাএ, রিমন আহমেদ সুমন বলেন, ‘ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছা এমন নৌকা আবিষ্কার করা যা দেখে সবাই প্রশংসা করে।নারিকেলের খলফা দিয়ে নৌকা বানানো ছাড়াও তিনি এর আগে বিভিন্ন ধরনের নৌকা বানিয়ে সফল হয়েছেন।ফর্ম দিয়ে স্পীড বোড বানিয়ে গত বছর সফল হয়েছিলেন তিনি ।


উচ্ছ্বসিত রিপন আহমেদ সুমন  বলেন, ‘পড়াশুনা এবং বাড়ির কাজের পাশাপাশি নারিকেরের খলফা দিয়ে নৌকা তৈরি করছি। এতদিনের পরিশ্রমের পর এটা বানাতে পেরে আমার খুব ভাল লাগতেছে। অনেক লোক আসতেছে আমার নৌকা দেখতে। যেই দেখতেছে সেই প্রশংসা করতাছে।’




অপর দর্শনার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি পাশের গ্রামে থাকি। মানুষের মুখে বেশ কিছু দিন ধরে শুনছি এই এলাকায় একজন নারিকেলের খলফা দিয়ে নৌকা বানিয়েছে। তাই আজ দেখতে আসলাম। নারিকেলের খলফার নৌকা ও আসল বড় কাঠের বা স্টীলের নৌকা  এটা দেখতে একই রকম। তার কাজে আমি সত্যিই বিস্মিত। সে আমাদের এলাকার গর্ব। রিমন আহমেদ সুমনের আইডিয়া হতে পারে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির হাতিয়ার।


রিমন আহমেদ সুমনের বাবা বলেন, ‘প্রথম যখন রিমন এই নৌকা বানানো শুরু করে তখন লেখাপড়ায় ব্যাঘাত হবে ভেবে তাকে অনেক বকাঝকা করতাম, ধমক দিয়ে বলতাম পড়াশোনা বাদ দিয়া কি করস এগুলা! এখন রিমনের বানানো নৌকা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে এবং প্রশংসা করছে। এতে গর্বে আমার বুক ভরে যাচ্ছে। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন যেন সে বড় হয়ে একজন ভালো মানের আবিষ্কারক  হতে পারে। তিনি দেশবাসীর কাছে দাবী করেন,দেশের মানুষ যদি তার ছেলের পাশে থেকে টেকনিক্যাল দিক বা কারিগরি দিক দিয়ে যদি একটু সাহায্য ও সহযোগিতা  করে, তাহলে আগামীতে আরো ভাল কিছু করতে পারবে।


প্রতিদিনই শতাধিক লোকজন আসছেন রিমনের বাড়িতে। রিমনের এমন প্রতিভা দেখে খুশি স্থানীয় লোকজন। প্রথমে মানুষের নানা মন্তব্য শুনলেও এখন প্রশংসা করছেন সবাই।

জেলার খবর এর আরও খবর: