যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি : প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল

 প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন   |   জেলার খবর


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল। সেই সাথে নদীর তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনের পানি বৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নদীপাড়ের মানুষরা। 


সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 


জানা যায়, যমুনায় দ্রুত পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর ও সদরের কিছু অংশে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। প্রতিদিনই ঘর-বাড়ি ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। চৌহালি উপজেলার চর-আঙ্গাডু গ্রামের সুক্কর ইসলাম জানান, এক সপ্তাহ ধরে যমুনায় পানি নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙতে শুরু করেছে। আবার পানি কমে যাবার সময়ও ভাঙে। এ বছর বন্যার পানি নদীতে আসায় প্রায় ২০-২৫টা বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। এর সাথে প্রতিদিন ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, কাশেম আলী জানান, গত দুই দিন আগে এই গ্রামের নয়টি বসতভিটা ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও প্রতিদিনই নদীর পাড় ভাঙছে। ভাঙন আতঙ্কে অনেকে ঘর বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। 


সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীতে পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। পানি বাড়াতে অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, যমুনার পানি আরো ৫-৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এই পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে না।

জেলার খবর এর আরও খবর: