বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

 প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২০, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন   |   অর্থ ও বাণিজ্য



 করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে ছিল ৪১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এই রিজার্ভ পাকিস্তানের তিন গুণ। এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে দশ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

 

দেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মত ৩৯ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে গত ১ সেপ্টেম্বর। সেপ্টেম্বরের শুরুতে তা আরও বেড়ে ৩৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে ওঠে।

 

৭ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-অগাস্ট মাসের ১ বিলিয়ন ডলারের মত আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। ২০ সেপ্টেম্বর তা আবার ৩৯ বিলিয়ন ডলারের উপরে ওঠে। ৮ অক্টোবর তা আরও বেড়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে তা ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

 

অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে এবং ২০২১ সালের মধ্যে তা ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঘর স্পর্শ করবে। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পাকিস্তানের রিজার্ভের পরিমাণ ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মত। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভ পাকিস্তানের তিনগুণেরও বেশি।

 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।

 

অন্যদিকে এই তিন মাসে পণ্য আমদানিতে ব্যয় কমেছে সাড়ে ১১ শতাংশের মতো। আর বিদেশি ঋণ সহায়তা বেড়েছে প্রায় ৫৪ শতাংশ।

অর্থ ও বাণিজ্য এর আরও খবর: