লালপুরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

 প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন   |   শিক্ষা



লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ

নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজটি সরকারি করনের তালিকায় থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গত ৩০ জুন ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের লক্ষে নিয়োগ,স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর ও অর্থ ব্যায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সম্প্রতি ৪ টি পদে নিয়োগ দানের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ আনা হয়েছে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ওই কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের পক্ষে উপাধ্যক্ষ মানিক উদ্দীন এর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অভিযোগ পত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ২৮ জুন ১৫৪ টি উপজেলার একটি করে মোট ১৫৪ টি কলেজ জাতীয়করণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি প্রদান করেন। উক্ত তালিকায় নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর আদর্শ মহিলা কলেজের নাম থাকায় গত ২০১৬ সালের ৩০ জুন জাতীয়করণের লক্ষে প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ,স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর ও অর্থ ব্যায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। জাতীয়করণের লক্ষে ওই বছর ১৭ আগষ্ট শিক্ষামন্ত্রনালয় কলেজটি পরিদর্শন করেন এবং ওই বছরই ২৮ ডিশেম্বর পরিদর্শন প্রতিবেদন প্রদান করেন। সেই আলোকে ২০১৭ সালের ৩ মে তারিখে সরকারের অনুকুলে দানপত্র দলিল সম্পাদন করে ওই বছর ১৬ মে উক্ত দলিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেয়া হয়। পরবর্তিতে কলেজটি জাতীয়করণের গেজেট ভুক্ত না হওয়ায় অত্র কলেজের সভাপতি স্থাণীয় সংসদ সদস্য কলেজটি জাতীয়করনের জন্য আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয় গত ২০২০ সালের ২ জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা চেয়ে পত্র প্রেরণ করেন। উক্ত পত্রের আলোকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে ওই বছর ৩০ জুলাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী গত ২০২৩ সালের ১জুন সমসাময়িক কলেজের আলোকে বিষয়টি দ্রুত নিস্পত্তি করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

আভিযোগকারীদের অভিযোগ যেহেতু কলেজটি জাতীয়করণের গেজেটভুক্ত করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক অত্র কলেজে নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাই কলেজে যেকোন ধরনের নিয়োগ হবে সম্পুর্ন অবৈধ্য। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ বেলাল হোসেন সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ৮ মে সৃষ্ট পদে এক জন করে ল্যাব সহকারী পদার্থ বিজ্ঞান,ল্যাব সহকারী রষায়ন,ল্যাব সহকারী আইসিটি ও শুন্য পদে একজন নিরাপত্তা কর্মী মোট চারটি পদে নিয়োগের জন্য একটি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অবৈধ্যভাবে নিয়োগ বানিজ্যের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।

এ বিষয়ে ওই কলেজের অধ্যক্ষ বেলাল হোসেন জানান, শিক্ষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আছে কিন্তু এসব নিয়োগে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, নিয়োম মেনেই নিয়োগের প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।

শিক্ষা এর আরও খবর: