গোপালগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি, নিরব প্রশাসন।

 প্রকাশ: ২৬ অগাস্ট ২০২২, ০১:৩৯ অপরাহ্ন   |   গোপালগঞ্জ সদর


গোপালগঞ্জ  জেলা  প্রতিনিধিঃ

 গোপালগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি, প্রশাসন নিরব গোপালগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অজানা কারনে গোপালগঞ্জের প্রশাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উদ্ধতন কমকর্তরা নিরব ভূমিকা পালন করছে।প্রতিদিনই দূর দূরান্ত থেকে আসা সেবা গ্রহীতা মানুষগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এই দপ্তরের সরকারি সেবা পেতে ঘুরতে হচ্ছে মাসের পর মাস, পাচ্ছে দুর্ব্যবহার, হচ্ছে লাঞ্ছনার শিকার, দিতে হচ্ছে ঘুষ।


অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে এধরনের অনিয়ম ঠেকাতে সহকারী পরিচালক আশীষ কুমার দাস আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেও শক্ত ওই সিন্ডিকেট কে এখনো ভাঙতে পারেনি।



গত ২৪ ও ২৫ আগষ্ট পাসপোর্ট অফিসে সরেজমিনে গিয়ে জালাল শেখ, আরতি বাইন, জিল্লাল মোল্লা, সমির বাইনসহ একাধিক ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আশিষ কুমার দাসকে উপেক্ষা করে অফিস সহকারী পদে দায়িত্বে থাকা আবু তাহের অফিসের হর্তা-কর্তা সেজেছে। পাসপোর্ট বিতরণ কক্ষের সামনে প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের দাঁড় করিয়ে রেখে ফোনে কথা বলাসহ খাতিরের লোকজন নিয়ে গল্পে মাতেন। অফিসের সকল অনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি, পাসপোর্ট এর আবেদন ফরম জমা থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত রয়েছে তার কঠোর সিন্ডিকেট। অফিসের বাহিরে রয়েছে তার এক ডজন দালাল। প্রভাবশালী আবু তাহেরের ইশারাতেই গ্রাহকদের বিভিন্ন কৃত্রিম ভোগান্তি তৈরি করা হয়, পরবর্তীতে ঢাকা থেকে সমাধান করার কথা বলে হাতিয়ে নেওয়া হয় হাজার হাজার টাকা।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বরত একজন আনসার সদস্য বলেন, অফিস সহকারী আবু তাহের পাসপোর্ট বিতরণ রুমে অধিকাংশ সময় ফোনে কথা বলা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। মাঝেমধ্যে গ্রাহকসহ আমাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন।


পাসপোর্ট বিতরণের দায়িত্বে থাকা অফিস সহকারী আবু তাহের অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যখন সার্ভার না থাকে তখন মাঝেমধ্যে একটু ফোনে কথা বলি এটা স্বাভাবিক নিয়ম।


এবিষয়ে গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আশিষ কুমার দাস বলেন, আমার কাছে পূর্বেও তার বিষয়ে অভিযোগ এসেছে, জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

গোপালগঞ্জ সদর এর আরও খবর: