ঝিগরগাছায় অজ্ঞান পার্টি চোর চক্রের দু’জন আটক স্বর্ণালংকার, অচেতন সামগ্রীসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার
মনা, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঝিকরগাছায় অজ্ঞান করে সোনা ও নগদ টাকা চুরি সংঘটিত করা চক্রের সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি। এসময় স্বর্ণালংকার, ঘরভাঙার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছেন ডিবি সদস্যরা।
আটককৃতরা হচ্ছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের পশ্চিম পাইকাড়ার রাজু গাজী (৩৫) ও তেঁতুলিয়া পূর্বপাড়া মিজানুর রহমান (২৫)। এর মধ্যে রাজু বর্তমানে যশোরের পুলেরহাট মন্ডলগাতিতে মজিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বাস করছিল।
তথ্য মিলেছে, গত ১০ আগস্ট রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের আশিকুলের বাড়িতে অজ্ঞাত চোর চক্র হানা দেয়। তারা খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির সবাইকে অচেতন করে ঘর থেকে ১ ভরি ৮ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ১টি ডিসকভার মোটরসাইকেল চুরি করে। এ ঘটনায় আশিকুল ডিবি পুলিশকে অবহিত করে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখে। ডিবির এলআইসি শাখার কনস্টেবল আব্দুল বাতেনের দুরদর্শিতা ও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় চোর চক্র শনাক্ত হয়। আশিকুল ইসলাম ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন, যার নাম্বার ২০।
ওই মামলার রেফারেন্সে ডিবির এলআইসি টিমের এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম, শফি আহম্মেদ রিয়েল, কনস্টেবল আব্দুল বাতেন ও ঝিকরগাছা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বকতিয়ার আলী ২২ সেপ্টেম্বর একটি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় যশোর কোতোয়ালি থানা ও সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অজ্ঞান পার্টি চোর চক্রের ২ সদস্যকে আটক করেন। এসময় ১ ভরি ১ আনা স্বর্ণালংকার, ১টি মোবাইল ফোনসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত জব্দ করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, তারা আন্তজেলা গৃহ চোর সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। তারা চেতনানাশক ওষুধের গুড়ো খাদ্যদ্রব্যে মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে। পরে চুরি সংঘটিত করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে খুলনা বিভাগে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি মামলা রয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভর আদালতে রাজু গাজী দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে।
ডিবি ওসি রুপণ কুমার সরকার, পিপিএম (বার) জানিয়েছেন, তার তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটন করে চলেছে। একইসাথে অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে, অপরাধী আটক করছে। অস্ত্র মাদক উদ্ধার করছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
