তাড়াশে পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ

 প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ



সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস

 কোরবানির পশু বেচাকেনায় অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিক্রেতাদের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হচ্ছে। 


এতে হাটপ্রতি অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ইজারাদাররা।


সরেজমিনে পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, রশিদে ক্রেতার নাম, ঠিকানা এবং কত টাকায় পশুটি কেনা হলো সেটি উল্লেখ করা আছে। তবে হাটে খাজনা বাবদ কত টাকা নেওয়া হলো সেটি উল্লেখ থাকছে না। কিন্তু ইজারাদাররা গরুর ক্ষেত্রে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং খাসির ক্ষেত্রে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা আদায় করছেন। এছাড়া বিক্রেতার কাছে আরও অতিরিক্ত ৫০ থেকে ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।


 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গরু, মহিষ ও ঘোড়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা এবং ছাগল ও ভেড়ার ক্ষেত্রে সব্বোর্চ ৬০ টাকা খাজনা আদায়ের নির্দেশনা রয়েছে।

কিন্তু সরকারি নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে।


বারুহাস পশুর হাট থেকে ১ লক্ষ দশ হাজার  টাকা দিয়ে একটি কোরবানির গরু কিনেছেন  গুরদাশপুর উপজেলার শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, তার কাছে পশুর খাজনা বাবদ ৬০০ টাকা নিয়েছে। তবে তার হাতে থাকা  রশিদে খাজনার টাকা উল্লেখ নেই।


বারুহাস হাটে কোরবানির পশু কিনতে আসা  বাবলু হক জানান,  (ইজারদাররা) যেটা চাচ্ছে সেটাই দিতে হচ্ছে। এখানে জনগণের কিছু করার নেই। প্রতিবাদ করলে মারধরের শিকার হতে হবে।


 আনোয়ার হোসেন  নামে  গরু  বিক্রেতা জানান,  গরু হাটে বাধার জন্য গরু প্রতি ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে।


বারুহাস হাটের ইজারাদার এস এম এনামুল হক জানান,অন্য সব হাটে যে ভাবে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। আমরা সে ভাবে আদায় করছি । আপনাদের সমস্যা কোথায় 



এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নুরুল জানান, সরকারি তালিকার বাহিরে কেউ অতিরিক্ত খাজনা আদায় করতে পারবেনা ।করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

সারাদেশ এর আরও খবর: