ভালুকায় চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপন হোক — সময়ের জোরালো দাবি।

ইমন সরকার, ভালুকা উপজেলা প্রতিনিধি
শিল্পাঞ্চল ও আঞ্চলিক জনস্বার্থের কথা মাথায় রেখেই ভালুকাকে বেছে নেওয়া হোক হাসপাতালের স্থান হিসেবে
ভালুকা, ময়মনসিংহ — শিল্পসমৃদ্ধ ও জনবহুল এলাকা ভালুকায় চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের জোর দাবি উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। ময়মনসিংহ বিভাগের ‘গেটওয়ে’ হিসেবে খ্যাত এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ, ভৌগোলিক অবস্থান ও শিল্পায়নের প্রসারকে কেন্দ্র করেই এই দাবিকে সময়োপযোগী ও যৌক্তিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভালুকার অবস্থানগত গুরুত্ব
ঢাকার অদূরে অবস্থিত ভালুকা উপজেলা বর্তমানে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে ৩০০টিরও বেশি মিল-কারখানা, যেখানে কাজ করেন লাখ লাখ শ্রমিক। অথচ এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য এখনো নেই কোনো আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক হাসপাতাল। ফলে কর্মজীবী মানুষদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও চিকিৎসা নিতে ঢাকা বা ময়মনসিংহ শহরের দিকে ছুটতে হয়।
এক কোটি মানুষের প্রত্যাশা
ভালুকার অবস্থান গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুরের সংযোগস্থলে হওয়ায় এই অঞ্চলে একটি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপন করা হলে সরাসরি উপকৃত হবেন প্রায় এক কোটি মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় দূরের জেলা থেকেও সহজেই চিকিৎসা নিতে আসা সম্ভব হবে।
জনমত গড়ে তোলার আহ্বান
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম বলেন—
“শ্রমজীবী মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ভালুকা সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। এখানে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপন করা হলে কেবল ভালুকার মানুষ নয়, আশেপাশের জেলার মানুষও উপকৃত হবে। আমরা চাই এই হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় আনা হোক।”
তিনি আরও জানান, এ দাবিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই জনমত তৈরি শুরু হয়েছে, এবং প্রয়োজনে গণসচেতনতা কর্মসূচি নেওয়ার প্রস্তুতিও রয়েছে।
উন্নয়ন ও জনকল্যাণের যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে পারে এই প্রকল্প
ভালুকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, খোলা জায়গা ও আধুনিক অবকাঠামো চিকিৎসা খাতের উন্নয়নের জন্য একে আদর্শ করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখানকার পরিবেশ এবং কৌশলগত অবস্থান বিবেচনায় এনে এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল স্থাপন করলে তা জাতীয় স্বাস্থ্যখাতে একটি মাইলফলক হয়ে উঠবে।