কালকিনি প্রেসক্লাব নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল

 প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন   |   অপরাধ ও আইন


নিজস্ব প্রতিবেদক 

কালকিনি প্রেসক্লাবের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৩০জুন ২০২৪ইং। প্রতি বছরের নেয় এবারও সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থন নিয়ে একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল কমিটি গঠিত হয়েছে।

গত ৩০ জুন প্রেসক্লাব সদস্যদের গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রধান জনাব ইয়াকুব খান শিশির ও তার সহযোগী বিটিভির জেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান সোহাগ, গৌরনদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান ও ফরিদ উদ্দিন মুফতির ঘোষণা ও ইয়াকুব খান শিশির এর শফত অনুষ্ঠানের ভিডিও দেখলেই বুঝা যায়। কালকিনি প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের কিছু দলছুট সাংবাদিক তারা যখন প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদে দায়ীত্ব না পায় তখনই তারা প্রেসক্লাবের সম্মান হানী মুলক বক্তব্য ও সংবাদ পরিবেশন করেন। ফলে তারা প্রেসক্লাব থেকে বের হয়ে যায় অথবা বহিষ্কার হয়।

কালকিনি প্রেসক্লাব এক মাত্র সংগঠন যেখানে প্রতি বছর কমিটি গঠিত হয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচত হয়। পরপর দুই বছর দায়িত্বে সভাপতি/সম্পাদক থাকার পর তারা ১বছর ড্রপ দিয়ে তারপর আবার নির্বাচন করতে পারেন। কার্যকরী পরিষদের অন্য সব পদে যে যত ভাল কাজ করবে সে তত বেশী দিন থাকতে পারবে। ২০১৫/১৬ সালে ততকালীন এমপি আ,ফ,ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাহেব কালকিনি উপজেলার সকল সাংবাদিক এক প্রেসক্লাবে থাকবে বলে জানালে প্রয়াত সাংবাদিক কালকিনি বার্তার সম্পাদক, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন দুলাল ও বর্তমান কালকিনি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি মোঃ জাকির হোসেন ও সাবেক সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম মিন্টুর সমন্বয়ে সকল সাংবাদিক কালকিনি প্রেসক্লাবে আসেন।

ঐ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মোসাৎ শাম্মি আকতারকে প্রেসক্লাবের আহবায়ক করা হয়। ততকালীন সময় যেহেতু কালকিনি প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ছাপানো হয়েছে তাই গঠনতন্ত্রের দুটি ধারায় কিছু সংশোধন হয়েছে তা সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কালকিনি প্রেসক্লাবের রেজুলেশন খাতায় উল্লেখ আছে। তার মধ্যে যেহেতু দেলোয়ার হোসেন দুলাল পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাই তাকে কার্যকরী পরিষদে অর্ন্তরভুক্ত করার লক্ষ্যে কার্যকরী পরিষদের সভাপতি/ সম্পাদক পদ বাদে যে কোনো পদে রাজনৈতিক পদে থাকা কালকিনি প্রেসক্লাব সদস্য  সাংবাদিকদের আনা যাবে।

এছাড়া সভাপতি/সম্পাদক পরপর দুই বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন ও অন্য যে কোন পদ সভাপতি/সম্পাদক চাইলে দীর্ঘদিন রাখতে পারবেন। ২০১৫/২০১৬ সালে গঠনতন্ত্র গঠিত হওয়ারপর যেহেতু আর সংশোধন হয়নি আর যারা ঐসময় কালকিনি প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলোনা তারা কি করে গঠনতন্ত্রের সম্পর্কে অবগত হবেন। ফলে যারা নতুন সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য তারা এই গঠনতন্ত্র কিভাবে পরিবর্তন হয়েছে তা কিভাবে জানবেন।

কালকিনি প্রেসক্লাবে যারা স্থায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকতে চেয়ে থাকতে পারেনি তারাই প্রেসক্লাব থেকে বের হয়ে অন্য সংগঠন নাম করন করে আজিবন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়ে বসে আছেন। কালকিনি প্রেসক্লাব এক মাত্র সংগঠন যেখানে পরপর দুই বছর সভাপতি/সম্পাদক থাকার পর তাকে এক বছর ড্রপ দিতেই হবে সদস্যরা চাইলেও থাকতে পারবেনা। গত দুই বছর আগে কালকিনি প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমান হাকিম এর সাথে কয়েকজন সাংবাদিক কালকিনি প্রেসক্লাবে যোগদান করে। তাদের কয়েকজন প্রেসক্লাবের কার্যকরী পদে দায়িত্বে ছিলেন।

২০২২/২৩ অর্থ বছরে কালকিনি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুর রহমান হাকিম দায়িত্বে ছিলেন ঐ সময় ততকালীন এমপি ড, আবদুস সোবহান গোলাপ প্রেসক্লাবে ১লক্ষ টাকা সরকারী অনুদান দেয়। সভাপতি আসাদুজ্জামান দুলাল  ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমান হাকিম ঐ টাকা দিয়ে প্রেসক্লাবে অবকাঠামো উন্নয়ন করেন। ঐ সময় বর্তমান সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম তিনি ঐ টাকা কোথায় কি ভাবে উন্নয়নে খরচ করেছেন তার খবরও রাখেনি। অথচ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর রহমান হাকিম এর সাথে আসা সাংগঠনিক সম্পাদক তিনি ঐ টাকা নিয়ে প্রেসক্লাবের মানহানি কর ফেইসবুকে লেখা পোষ্ট করেছেন। ঐ লেখার জবাব যদিও সম্পাদক হাকিমের দেয়ার কথা থাকলেও কেনো দেয়নি তা প্রেসক্লাবের অজানা। যেহেতু ঐ সাংবাদিক কালকিনি প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের ৮ধারায় অভিযুক্ত তাই তাকে কার্যকরী পরিষদের মিটিং এ শোকজ নোটিসেই মাধ্যমে চিঠি দেয়া হয়েছে। ঐ সদস্যকে সমর্থন করায় আরো তিনজনকেও শোকজ করেছে।

কালকিনি প্রেসক্লাব গঠিত হওয়ার পর থেকেই তার গঠনতন্ত্রের মধ্যেই চলে আসছে এবং ভবিষ্যতেও গঠনতন্ত্রের মধ্যেই চলবে। কালকিনি প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র মেনে যারা এখনো আছে এবং ভবিষ্যতে যারা আসবে তারাই তাদের প্রানের সংগঠন মনে প্রানে ধারণ করবে। গঠনতন্ত্রের বাহিরে যারা চলতে চাইবে তারাই কালকিনি প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাবে। অতএব ২০০৩ সাল থেকে কালকিনি প্রেসক্লাব তার সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেছে আর ভবিষ্যতে রাখবে। যারা এর আদর্শ ধারন করবেনা তারাই প্রেসক্লাব নিয়ে বাজে মন্তব্য করবে। আল্লাহ সকলকে বোঝার তৌফিক দান করুন।