বাগমারার পুকুর পাহারাদার হত্যাকান্ড: আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি।

লিয়াকত হোসেন, রাজশাহীঃ
বাগমারার পুকুর পাহারাদার আব্দুস সালাম হত্যাকান্ড: নেপথ্যে পরকীয়া সম্পর্কের জের; আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান।
গত ১০/০৫/২০২০ ইং তারিখ সকাল অনুমান সাতটার দিকে রাজশাহীর বাগমারা থানাধীন গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ সাজুরিয়া গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে যশের বিলে মনিরুল ইসলামের পুকুরের পশ্চিম পাড়ে একটি টিনের ঘরের মেঝেতে গলায় রশির ফাঁসের দাগ ও রক্তাক্ত অবস্থায় আব্দুস সালাম, পিতা: সাহাবুল, সাং:দক্ষিণ সাজুরিয়া,থানা: বাগমারা, রাজশাহী নামক এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বাগমারা থানায় হত্যা সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন। উল্লেখ্য মৃত আব্দুস সালাম যশের বিলে মনিরুল ইসলামের পুকুরে পাহারাদার হিসেবে কাজ করত। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে পুলিশ সুপার জনাব মো: শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় তদন্তকার্যক্রম শুরু করে থানা পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) জনাব সুমন দেবের নেতৃত্বে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত মোসা: শিরিন বেগম(৩৫), পিতা: আব্দুস সামাদ , গ্রাম: হাট গোয়ালকান্দি, থানা: বাগমারা, রাজশাহীকে গ্রেফতার করা হয় এবং আজ ১১/০৫/২০২০ তারিখ উক্ত নারী হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল মাহমুদের আমলী আদালত- ২ এ ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
মূলত অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় দুই বছর ধরে তালাকপ্রাপ্ত শিরিন বেগমের সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুস সালাম অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু শিরিন বিয়ের কথা বললে সালাম কৌশলে এড়িয়ে যেত। ০৯/০৫/২০২০ তারিখ যশের বিলের মনিরুলের পুকুর পাড়ের একটা ঘরে রাত অনুমান ১০.৩০ টার দিকে সালাম ও শিরিন শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়।পরবর্তীতে শিরিন বিয়ের কথা বললে সালাম রাগান্বিত হয় ও তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে শিরিন কাঠের বাটাম দিয়ে সালামের মাথায় জোরে আঘাত করে ও পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা শিরিনের পরিচিত বাগমারা থানাধীন কেফা, সেলিম ও রুস্তম নামক তিনজন ব্যক্তি এ হত্যাকান্ডে অংশ নেয়।তারা সালামের মাথায় আঘাত করে ও গলায় রশির ফাস দেয়। শিরিনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।