মধুখালীতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে অভিযুক্ত রুমি।

 প্রকাশ: ২১ অগাস্ট ২০২০, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন   |   অপরাধ ও আইন


সুজল খাঁন, মধুখালী(ফরিদপুর)প্রতিনিধিঃ   ফরিদপুরের মধুখালী পৌরসভার ভাটিকান্দী মথুরাপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার দুই ছেলে গোলাম মোস্তফা রুমি ও গোলাম হাদী দীর্ঘদিন যাবৎ পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসা করে আসছেন। তাদের পোল্ট্রি ফিড বিক্রয়ের দোকান আছে। 

সরোজমিনে ও মধুখালী ওজোপাডিকো  লি ঃ এর  বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের অফিস সুত্রে জানা গেছে চতুর গোলাম মোস্তফা রুমি তথ্য গোপন করে মধুখালী বিদ্যুৎ অফিস থেকে তার পিতার নামে কৃষি কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সেচ পাম্প চালনোর জন্য একটি সংযোগ গ্রহন করেন। তার ছোট ভাইও  আবাসিক সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছেন বাণিজ্যিক পোল্ট্রী মুরগির ফার্মে । মিটার দুইটির একটি সেচ পাম্প ও অপরটি আবাসিক বিল প্রদান করতো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেচ পাম্প ও আবাসিক মিটার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা দন্ডনিয় অপরাধ। বর্তমান সরকার কৃষিখাতে উন্নয়নের লক্ষে সেচ পাম্প ব্যবহারের ক্ষেত্রে  বিদ্যুৎ বিলে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। 

গোলাম মোস্তাফা রুমি ও গোলাম হাদী রাজস্ব ফাকি দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন । মধুখালী বিদ্যুৎ সরবরাহ আবাসিক সহকারী  প্রকৌশলী অশোক কুমার দাস বিশ্বাস্থ সুত্রে খবর পেয়ে বিদ্যুতের সংযোগ স্থল পরিদর্শনে গেলে ঘটনার সত্যতা পান।  সরজমিনে গ্রাহকক গোলাম হাদীর নামীয় ১১২৫/৬৪ নং মিটারকে ১০ হাজার ৭০ টাকা এবং গোলাম মোস্তফার নামে  ১১৯৪/০৩ নং মিটারকে  ৫ হাজার ২শ ৪৫ টাকায় সমন্নয় করেন। চতুর রুমি বৈদ্যুতিক মিটার নিজের নামে না নিয়ে পিতা ও ভাইয়ের নামে  নিয়ে ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছেন। বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। লাভবান হচ্ছেন নিজে লোকসানের মুখে  বিদ্যুৎ বিভাগ।

প্রকৃত পক্ষে ৩০ মে ২০১৫ খ্রিঃ এবং  ১৭ জুলাই ২০১২ খ্রিঃ থেকে  সংযোগ প্রাপ্ত হয়ে দুইটি মিটার থেকে দীর্ঘদিন বাণিজ্যিক খাতে বিদ্যুৎ  ব্যবহার করে আসছেন। অনৈতিক ভাবে একটি মিটার ব্যবহার করলেন ১৮ বছর অপরটি ৫বছর । অথচ ৬ মাসের বিদ্যুৎ বিল সমন্নয় কেন করা হলো এমন প্রশ্নে আবাসিক প্রকৌশলী অশোক কুমার  দাসের মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান  সেচ পাম্প এর সংযোগ ব্যবহার করেছে আবাসিকে এবং আবাসিকের সংযোগ ব্যবহার করা হয়েছে পোল্ট্রি ফর্মে। সাধারনত  আমরা সাধারনত ২ মাসের জরিমানা বা সমন্নয়  করে থাকি। সে ক্ষেত্রে আমরা তাকে ৬ মাসের সমন্নয়  করে দুটি সংযোগের ১৫ হাজার টাকা সমন্নয় করেছি।