কাশিয়ানীতে ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিহিংসা! দোকান ভেঙ্গে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রেলের জায়গা থেকে প্রতিপক্ষের সমর্থকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে সেখানে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মশিউর রহমান খানের বিরুদ্ধে।এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি বরাবর অভিযোগ দিতে গেলেও অভিযোগ নেননি তারা।অনুসন্ধানে জানা গেছে,সদর ইউনিয়নের বরাশুর গ্রামের জাফর মোল্যা ও বুধপাশা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু শেখের ছেলে আল আমিন শেখ(লেলিন)দুই বছর আগে ভাটিয়াপাড়া মাছ বাজারের পাশে রেলওয়ের পরিত্যক্ত জায়গায় দুইজনে দুটি দোকান ঘর তুলে ব্যবসা করে আসছিলেন।কিন্তু জাফর মোল্যা ও আল আমিন শেখ লেলিন ইউপি চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান খানের প্রতিপক্ষ মোহাম্মাদ আলী শিকদার খোকনের সমর্থক হওয়ায় তাদের দোকান ঘর ভেঙে সেখানে এলজিইডির আওতাধীন একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজ করছেন।বাজারের পুরাতন পাবলিক টয়লেটের পাশে অনেক জায়গা থাকা সত্বেও প্রতিহিংসার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান দোকান ঘর দুটি ভেঙে দিয়ে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।এতে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাটিয়াপাড়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.কাজী খোকন বলেন,বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের স্বার্থে জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়।পরে সেখানে ওরা ঘর তুললে ঘর ভাঙার জন্য বার বার বলা সত্ত্বেও না শোনায় আমরা ঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেই।এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো.মশিউর রহমান খান বলেন,এক বছর আগে বাজার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেলের ওই জায়গাটি টয়লেটের জন্য নির্ধারণ করা হয়।হঠাৎ রাতের আধাঁরে তারা ঘর তোলে।বাজার কমিটির পক্ষ থেকে তাদেরকে একাধিকবার ঘর ভাঙতে বললে তারা কর্ণপাত করেনি।পরে বাজার কমিটি মিটিং করে ঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়।এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আতিকুল ইসলাম বলেন,জায়গাটি বাংলাদেশ রেলওয়ের।ওখানে কাকে রাখবে আর কাকে উচ্ছেদ করবে সেটা রেল কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। আমাদের বলার কিছু নেই।আমি দোকান ভেঙ্গে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের কোনো অনুমতি দেয়নি।
এ ব্যাপারে কাশিয়ানী এলজিইডির প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,জায়গাটি বাংলাদেশ রেলওয়ের।ওখানে কাকে রাখবে আর কাকে উচ্ছেদ করবে সেটা রেল কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।আমি দোকান ভেঙ্গে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের কোনো অনুমতি দেয়নি।এটা চেয়ারম্যানের বিষয় আমি কিছু বলতে পারি না।এ ব্যাপারে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রথীন্দ্রনাথ রায় বলেন,দোকান ঘর ভেঙে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা ঠিক হয়নি।ওই জায়গাটি বাংলাদেশ রেলওয়ের।ওখানে কাকে রাখবে আর কাকে উচ্ছেদ করবে সেটা রেল কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।আমাদের বলার কিছু নেই। আমরা দোকান ভেঙ্গে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের কোনো অনুমতি দেয়নি।এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশীর ডিআরএম শাহিদুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই।তবে কেউ রেলের জায়গা দখল করে কোন স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না।যদি কোনো লোক অবৈধ স্থাপনা করে থাকে তাহলে আমরা দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবো।