জিউধরায় ৯৫ নং বড়ইতল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ

জিউধরায় ৯৫ নং বড়ইতল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মোঃপলাশ হাওলাদার হাছিব।
বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিদর্শন করে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন।উপজেলার ৯৫নং বরইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা স্বজল কুমার মহলী। ওই বিদ্যালয়ে ৫ (পাঁচ) পদের বিপরিতে সাধনা মল্লিক নামে ১ জন সহকারী শিক্ষককে উপস্থিত পান। প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘ ৬ বছর ধরে শূন্য, প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্বে আছেন সহকারী শিক্ষক নাসির হাওলাদার, জেবুনেছা নামে ১জন শিক্ষিকা পিটিআই প্রশিক্ষনে আছেন, আর ১ জন সহকারী শিক্ষক মশিউর রহমান এর সাথে দায়ীত্বরত সহকারী শিক্ষক নাসির হাওলাদার এর বিভিন্ন অনিয়ম ও বিদ্যালয়ে অনিয়মিত আসা যাওয়া এবং পাঠদান নিয়ে কথা বলার কারনে গত বছর পিটিআই প্রশিক্ষনে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়।
প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক নাসির হাওলাদার কারনে অকারনে অফিসের কাজের কথা বলে বাহিরে থাকার কারনে সাধনা মল্লিককে একাই সামলাতে হয় বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদেরকে। ফলে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান ও মূল্যায়ন কার্যক্রম বিঘ্নিত এবং শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
গত ২৭ নভেম্ব থেকে ২৯ নভেম্বর/২১ পর্যন্ত মোটচ ৩ দিন নৈমিত্তিক ছুটিতে ছিলেন। যথা নিয়মে ৩০ নভেম্বর কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন এবং কর্তৃপক্ষ জানতে চাইলে তিনি বিদ্যালয় আছেন বলে জানান। পরবর্তীতে সহকারী শিক্ষিকা সাধনা মল্লিককে মোবাইল ফোনে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করান এবং মিথ্যা কথা বলে প্ররোচিত করেন যে, তিনি (নাসির) বিদ্যালয় এসে অফিসের কাজে বাগেরহাটে গিয়েছে বলে চালিয়ে দেন।
কিন্তু বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে সহকারী শিক্ষা অফিসার স্বজল কুমার মহলী বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান এবং হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দেখতে পান। তখন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক নাসির হাওলাদার ঢাকাতে অবস্থান করছেন।
বিদ্যালয়ের ভবন ও শ্রেনীকক্ষের ভিতরেও বিদ্যুতের তার যত্রতত্র বিপদ জনক ও বিদ্যুতের মিটারটিও অনিরাপদ অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখা যায়। যা বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদেরও জীবনমালের উপর মারাত্মক ঝুকিপূর্ন। বিদ্যালয়ের কোন ধরনের উন্নয়ন মূলক বরাদ্ধের রুটিন মেইন্টেনেন্স, প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেনী কক্ষ সজ্জিতকরণসহ অন্যান্য কাজের কোন ছোয়া নেই বিদ্যালয়টিতে। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুবই নগন্ন, ৫ম শ্রেনীতে মোট ৮জন শিক্ষার্থী উপস্থিত দেখতে পাওয়া যায়।
সরকারি ভাবে বরাদ্ধকৃত ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিদ্যালয়ে দেখাতে পারেনি। কোথায় কি ভাবে আছে তা সহকারী শিক্ষকরা জাননে না।
এমন অবস্থার কথা একাধিক বার পত্রিকায় প্রকাশ করা হলে বাগেরহাট-৪ মোরেলগঞ্জ শরনখোলা সাংসদ এ্যাডঃ আমিরুল আলম মিলন উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় এই বিদ্যালয়টির এমন অবস্থার সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি তাকে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
সব মিলিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিত প্রতিবেদন প্রেরন করেন সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা স্বজল কুমার মহলী।