কালকিনিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে বাঁধাগ্রস্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
শেখ লিয়াকত আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে বাঁধাগ্রস্তের প্রতিবাদে ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২২অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষদের একাংশের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ১৯৭২ইং সালে ঐতিহ্যবাহি কালকিনি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি উপজেলার সদরের প্রান কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে বিদ্যালটিতে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়। এরপর ২০২০ইং সাল থেকে এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পৌরসভার সাবেক প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পরে থেকেই বিদ্যালয়ের ভবন সংস্কার, বিদ্যালয়ের মাঠ প্রসস্থকারণ, চতুরদিকে বাউন্ডারী নির্মান, দরজা জানালা উন্নতি করন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন পাশ, প্রতিবছর খেলাধুলা-সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান চালিয়ে রাখা, শিক্ষার মানউন্নয়ন, শিক্ষার্থী বৃদ্ধি করনে প্রচেষ্টা অব্যহত রাখা ও স্কুলের পাশাপাশি কলেজে রুপান্তর করে পাঠদানে অনুমোদনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ তিনি অব্যহত রাখেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এ উন্নয়ন দেখে ঈর্শ্বানিত হয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আশ্রায় নিয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমানের ভবনের বাকি কিছু উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ডে বাঁধাগ্রস্ত করে আসছে কালকিনি পাইলট বালিকা স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুরেষ গাইনসহ কয়েকজন শিক্ষক। আরো যানাযায় যে, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে স্কুল কমিটির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য নানা অপপ্রচারের লিপ্ত হয়েছে ওই অধ্যক্ষসহ কিছু সংখ্যক শিক্ষকরা। ওই সকল ঘটনার প্রতিবাদে এ আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদে সম্মেলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবুল কালাম আজাদ ও স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে কালকিনি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জালাল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের সফলতা দেখে কিছু লোকজনের আজ গা জ্বালা পোড়া করছে। আসলে ভালো কাজে সহযোগীতার লোক কম পাওয়া যায়।
কালকিনি পাইলট বালিকা কলেজের মোঃ জহিরুল ইসলাম, রুবিনা, এনিয়া ও কানিজ ফাতেমাসহ ৮ শিক্ষক বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমাদের কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদকে স্কুল কমিটির সভাপতির পদ থেকে কোন প্রকার সরানো চেষ্টা করা হলে আমরা সবাই কলেজের চাকুরী ছেড়ে চলে যাব। কারন আমাদের প্রতিষ্ঠাতা না থাকতে পারলে আমরাও থাকবনা।
কালকিনি পাইলট বালিকা স্কুল এ্যান্ড কলেজ কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে বিদ্যালয়ের কোন অনিয়ম হলে প্রতিবাদ করেছি। কয়েকজন শিক্ষক মিলে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ডের দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছিল। ওই টাকা আমি উদ্ধার করায় তারা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। আজকে আমি যে উন্নয়ন করেছি সব ম্লান হতে বসেছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে কালকিনি পাইলট বালিকা স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুরেশ গাইনকে ফোনে পাওয়া যায়নি।