প্রিয় কবি ও লেখক: মো: আদিল মাহমুদের একগুচ্ছ কবিতা।

 প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২০, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন   |   শিক্ষা



(সংগ্রহে সাজ্জাদ হোসেন সাখাওয়াত)



১।

"বিশ্বাসের মর্যাদা"


লেখক: মো: আদিল মাহমুদ।


আমি স্রষ্টাকে দেখিনি, তার আদেশ মানিনি, খোদাকে বিশ্বাস করিয়াছি,

বাতাস কভু ধরিনি, চেষ্টা করেও পারিনি, বায়ুর তীব্রতা দেখিয়াছি,

পিতামহকে পাইনি, উপদেশও শুনিনি, পিতার কিছুটা জানিয়াছি,

জন্ম কোথায় বুঝিনি, জন্ম প্রমান রাখিনি, মা-বাবার কাছে শুনিয়াছি,

বিশ্বাস করিতে হয়, ভাবিয়া ধরিতে লয়, সর্বক্ষণ তোষামোদ নহে,

অবিশ্বাসী পিছে রয়, হয় তার পরাজয়, সর্বত্র বিপদ যেন বহে,

ন্যায় নীতি শিক্ষণীয়, অপরাধ বর্জনীয়, সত্যবাদী ণৃ-র বুকে সহে,

পাপ অগ্রে দমনীয়, সৎকাজে সদা নির্ভয়, পাপী মহা-যন্ত্রণায় দহে,

ভালবাসা সুখকর, মানবপ্রীতি মধুর, নর হয় সৃষ্টিতে মহান,

বুদ্ধিমত্তা গুনকর, আসল ঘর কবর, যেই মানুষের আছে প্রান,

সৃষ্টিকে সম্মান কর, তৈরি কর সুধাকর, পরকালে থাকিবে সম্মান,

সর্বত্র ধরপাকর, সবকিছু হবে পর, তিনি ব্রহ্মাণ্ডে বিরাজমান।




"আকাশ কতো সুন্দর"!


(চতুর্দশ পদি কবিতা"

লেখক: মো: আদিল মাহমুদ।)


আকাশ কতো সুন্দর, মনোরম ছাদ।

তারি মাঝে দেখা যায়,লক্ষ কোটি তারা,

বাগানে যেমন ফুল, গগন সৌন্দর্যে ভরা,

শূন্যলোক সীমাহীন, মনোহর স্বাদ।

রংধনুর সাতটি রং, দৃশ্যত মহা ধরন,

সৃষ্টির রূপ প্রত্যক্ষ, ক্রোমের সুদৃশ্য।

অন্তরীক্ষ প্রস্ফোটিত,যেনো ভরা মন,

আসমানে লুকায়িত, এই মহাবিশ্ব।

অনন্ত অগ্নি বরফ, নেই কোন পার্শ্ব,

সব তৃপ্তি মনে জাগে, নভোতে বরণ।

নিশিতে শূন্য আলোয়, ভরা জগদিশ,

মন চায় চলে যেতে, উর্ধ্বে অমরেশ।

আত্মার অস্তিত্ব দ্যুতে, দৃশ্য ভাসমান,

রাত্রিতে নির্মাণ স্পষ্ট, অদৃশ্য পরেশ।


৩.

"ছোট কালের স্মৃতি"


(দ্বাদশ পদি কবিত"

লেখক: মো: আদিল মাহমুদ।)

ছেলে বেলার স্মৃতি, মনের প্রীতি,

বাল্যকাল প্রেমের, মহান গীতি।

যাকে যায়না ভুলা, সে আত্মভোলা,

গাঁয়ের জ্বালা করে, নিত্য পাগলা।

কতক বন্ধু ছিল, আজ জানিনা,

কিন্তু তাদের মুখ, নিত্য ভুলিনা!

বাল্য বন্ধু মধুর, ভুলা কঠিন,

মনের ব্যথা, নাহি হয় বিলিন।

বন্ধু তোমরা আস, কেমন আছি,

একদা দেখে যাও, কিশোর সাথী।

মন ভবে মানেনা, ভুল করেছি,

ক্ষমা করো প্রিয়কে, তোমারা বীথি

আর হবেনা ভুল, আমি মরেছি!


৪.

"মাতা-পিতার অসহায়ত্ব"


(চতুর্দশ পদি কবিতা"

লেখক: মো: আদিল মাহমুদ।)


বাবা মার প্রিয়জন, তাদের সন্তান,

বাল্যকাল থেকে, সত্য সর্বদা যতন।

পড়ালেখা থেকে, বিয়ে করানো পর্যন্ত,

বাবা ও মায়ের থাকে, পূর্ন মাত্রা হন্ত।

শত অভাব, বুঝিতে না দেয়া মা গর্ব,

সন্তানের মঙ্গলের জন্য, সব খর্ব।

বৃদ্ধাশ্রমের বাহন, ভাবে নাহি তারা!

পুত্র কন্যা, অন্তরের অন্তস্থলে ভরা।

মা বাবার অবদানে, সন্তান অম্লান,

বউ বাচ্চা, তনয়ের প্রাণের জাহান।

যা-ই কর্তব্য, সকল কিছু ফলবান,

সন্তানাদি, বাবাদের নহে জলযান।

বাবা মা যেমনি থাকে, পুত্র মূল্যবান,

তাইতো বিধিতে লিখা,মাতা পিতা ম্লান।


৫.

কবিতা: "সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ, করোনা”দের মরণ"


লেখকঃ মো: আদিল মাহমুদ।


হে স্রষ্টা,তুমি সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা,

মানুষ আজ অসহায়,তুমিই শুধু রক্ষাকর্তা,

জানি মোরা অপরাধী,তোমার অবাধ্যকারী,

তাই বলে কি সবাই অমান্যকারী আর পাপাচারী?


তোমার অসংখ্য বান্দা আজ অসহায়,

যদিও পারমাণবিক বোমা কারো কাছে সহায়,

কিন্তু তারা জানে না,মানবজাতি নিরুপায়,

তুমিই সেই পাপী অবুঝদের একমাত্র উপায় ।


তোমার সৃষ্টি করা পৃথিবী আজ বিপদগ্রস্থ

জ্ঞানহীনরা ভাবে তাদের আছে ক্ষেপণাস্ত্র,

তোমার ক্ষমতা যে কি তা তারা বুঝে না,

ফলশ্রুতিতে,নিরীহদেরকেও পোহাতে হয় যন্ত্রণা ।


তোমার প্রতি প্রার্থনা,ধ্বংস করো করোনা,

একের পাপের সাজা দশের উপর দিওনা,

কোভিড কে মোরা ছাড় দিব না,তুমি করো করুনা,

তোমার নির্দেশ ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব না।


আমরা সেরা সৃষ্টি,দিয়েছ মোদের সম্মাননা,

আজকের বিপদের দিনে,তা কেড়ে নিও না,

মানুষ ও ভাইরাস সবই তোমার উদ্ভাবনা,

তাই তো মিনতি,মোদের হারতে দিও না।


জানি,অহংকারীদের উপর তুমি অতি অসন্তুষ্ট,

ক্ষমতাবান ও ধ্বংসকারীদের নেই কোন মনুষ্যত্ব,

শাস্তি যদি দিতে হয়,আমাকে সহ চার জনকে দাও,

তবুও,মহামারীকে চিরতরে উঠিয়ে নাও।


অকৃতজ্ঞরা যদি বুঝতো মৃত্যুর কঠিন যন্ত্রণা,

তাহলে করোনা’রা এতো সুযোগ পেত না,

পাপ করেছে তোমার সৃজন,করো তাদের মার্জনা,

শেষবার পূরণ করো মোদের মনের বাসনা।

শিক্ষা এর আরও খবর: