করোনার ছুটিতে শিক্ষকের বিষন্ন মনের অনুভূতি

 প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন   |   শিক্ষা


মোঃ আলমগীর হোসেন, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

ছুটি, ছুটি সকল চাকুরীজীবির জন্য অতি আনন্দের একটি বিষয়। যেই দিনে থাকে পরিবার পরিজনদের সাথে কাটানোর বিভিন্ন পরিকল্পনা। কিন্তু এবারের এই করোনার ছুটিটা যেন প্রতিটা মানুষের মনেই এক বিরক্তিকর ছুটিতে পরিণত হয়েছে। কেননা যে ছুটি আপনজন দেরও পর করে রাখে,চাইলেও ছুটে যাওয়ার সুযোগ নেই কোন প্রীয়জনের কাছে এমন ছুটি কারও কাম্য নয়।ফরিদপুর সদর উপজেলার বনোগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবিরের অনুভূতিপ্রবণতার একটি পোস্ট যেন তারই প্রমাণ করে। তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলেধরা  হলোঃ 

কী যেন মিস্ করছিলাম। ভালো লাগছিলো না। ভেতরটা কেমন যেন খালি খালি অনুভব হচ্ছিলো কয়েকটা দিন। শেষ অবধি বাইক নিয়ে বেরই হয়ে পড়লাম। অনেক দিন বাদে হাযির হয়েছি, জীবনের ১৬ টি বসন্ত কাটানো স্মৃতিমাখা আমার প্রিয় স্কুলে। স্কুলের পরতে পরতে মিশে আছে কত না মধুর স্মৃতি, আনমনে ওগুলো আওড়াচ্ছি কোলাহল মুক্ত সিমসাম পরিবেশে। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। প্রাণপাখিটা ওড়ার পরে দেহটা যেমন নিথর হয়ে পড়ে থাকে, তেমনি আড়ম্বরহীন পড়ে আছে আমাদের স্কুলটা। নেই শিক্ষকদের আনাগোনা। শিক্ষার্থীদের পদভারে মুখরিত হচ্ছে না বিদ্যালয়ের সবুজ প্রাঙ্গণ। সারি সারি উইভিং দেবদারু আর দেশি-বিদেশি নানা ফুলজ বৃক্ষ তাদের বাহারী ফুল আর সবুজ কচি পাতা নিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। অধীরে সে অপেক্ষমান তার প্রেমিক অধ্যয়নকারীদের জন্যে। 


শ্রদ্ধেয় প্রধানশিক্ষক, ম্যাডাম, বাচ্চু স্যার ও শামিমের সাথে দেখা হলো। কথা হলো কিছুক্ষণ। ফেরার সময় বারবার রাধাচূড়ায় মন আটকে যাচ্ছিলো। নতুন করে ফুল ফুটেছে অনেক। ঘ্রাণ নেয়ার কেউ নাই। করোনা শেষে ঝাঁকে ঝাঁকে আবার ফিরে আসুক ফুলকলিরা। মুখরিত হোক প্রিয় স্কুলের প্রত্যেকটা ইঞ্চি।

তার মতো আমরাও চাই অচিরেই কেটে যাবে এই করোনা নামক মহামারি আর আমরা শুরু করবো আমাদের স্বাভাবিক জীবন।

শিক্ষা এর আরও খবর: