বুড়িচংয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাড়িতে ফিরছে না ডাঃ মীর হোসেন মিঠু।

মারুফ হোসেন-বুড়িচং(কমিল্লা)সংবাদদাতাঃ
করোনা ভাইরাস (কোভিড১৯) সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরইমধ্যে অনেক আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে। অনেকে মারা গিয়েছে। আবার নতুন পুরাতন মিলে অনেক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও রয়েছে।
কুমিল্লার বুুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মীর হোসেন মিঠু এক সাক্ষাৎকারে বলেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা। মহামারী করোনা ভাইরাস( কোভিড১৯) থেকে জনসাধারনকে সচেতন করার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এ কর্মকর্তা।যেখানে দিনের পর দিন মহামারী করােনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে তিনি তার জীবন বাজি রেখে করােনা ভাইসার আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।যেখানে করােনা ভাইরাসের আক্রান্তের কারনে অনেক ডাক্তার কর্মস্থলে যাচ্ছে না সেখানে ডাঃ মীর হোসেন মিঠু ভয়কে তোয়াক্কা না করে আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত মার্চ মাস থেকে এখনো বাড়িতে যাওয়া হয়নি এ কর্মমকর্তার। হসপিটালের কাজ শেষে থাকছে বুড়িচং উপজেলার বাাংলোতো। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে বাড়িতে যাওয়া হবে এমনটাই জানালেন তিনি।
ডাঃ মীর হোসেন মিঠু বলেন এ পর্যন্ত (১৭ ই মে) বুড়িচং উপজেলায় মোট ২৬৫ জনের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ জন এবং সুস্থ হয়েছে ৮ জন। নতুন করে ষোলনল ইউনিয়নের পূর্বহুড়া গ্রামের শামীম আহমেদ নামে ১জন যুবক(২৫) গত ১৪ ই মে আক্রান্ত হয়েছে তবে অবস্হা বর্তমানে আশঙ্কাজন নয়। আশা করা যায় সে কয়েকদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন আক্রান্ত রোগীদেরকে বাড়িতে রেখেই সেবা প্রদান করা হয়েছে। মীর হোসেন মিঠু নিজে গিয়ে সবসময় তত্ত্বাবধান করেন এবং সর্বোচ্চ সেবা যত্ন করে সুস্থ করে তুলেন।
শুধু চিকিৎসা সেবা নয় সকল আক্রান্ত রোগীদের পরিবারকে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি মীর হোসেন মিঠু নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ কেজি চাল, ৪ কেজি মাল্টা,৪ হালি লেবু, ৫ কেজি পেঁয়াজ, ১ লিটার তেল ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র দিচ্ছেন। এবং তিনি আরো বলেন হসপিটালেও কিছু শয্যা ঠিক করে রাখা হয়েছে করোনা রোগীদের জন্য।অন্যান্য রোগীরা ও সঠিক চিকিৎসা যেন পায় এ দিকে তিনি লক্ষ্য রেখেছেন। প্রতিদিন সকাল বিকাল পুরো হসপিটাল জীবাণুনাশক দ্বারা স্প্রে করা হয়। বুড়িচং উপজেলার মানুষকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন ডাঃ মীর হোসেন মিঠু।