দেড় বছর বয়সেই এতিম হওয়া ছেলেটিই হলেন গোপালগঞ্জ-১ আসনের প্রথম সংসদ সদস্য।

প্রতিবেদক - মোঃ রফিকুল ইসলাম :
যার কারনে বাঁশবাড়িয়া গ্রামকে চিনেছিলেন বঙ্গবন্ধু,পদধূলি পড়েছিলো জাতির পিতার...!!! চিনেছিলো প্রিয় গোপালগঞ্জ বাসী.…...!!!
অবশ্য এর অন্য একটি বিশেষ
কারন ছিলো : ছোটবেলায় দুজনের-ই ডাক নাম ছিলো "খোকা"...!!!
যার কারণে মুকসুদপুর উপজেলার সর্বপ্রথম ইউনিয়নের স্বীকৃতি লাভ করে- বাঁশবাড়িয়া!যার কারণে ঐতিহ্য বাহীর তকমা পায় বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন ।।।
যে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর । আওয়ামীলীগের শুরু থেকে (১৯৪৯) একটানা ২৩ বছর (১৯৭২ পর্যন্ত) গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এই "বীর পুরুষ"..!!!
বীর পুরুষের নাম - "এ্যাডভোকেট নজীর আহাম্মদ তালুকদার"...!!!
পেশাগত জীবনের শুরুতেই গোপালগঞ্জে থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর সাথে একটা সু-সম্পর্ক গড়ে উঠেছে । পরবর্তীতে নিজ চাচা মেহের তালুকদার ও বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় রাজনীতিতে পা রাখেন...
সফল এ রাজনীতিবিদ ..!!!
১৯৭১ সালে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্ত্র সংরক্ষণ ও প্রদানের দায়িত্ব ছিলো এই বীর মুক্তিযোদ্ধার..!
বঙ্গবন্ধু তার এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে অভিভূত হয়ে যান এবং
১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে গোপালগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন !!!
অথচ এই মহান বীর দেড় বছর বয়সে প্রথমে পিতাকে ও ৪ দিন পরে তার মাতাকে হারান ..!!!
এরপর মহাপুরুষের সবকিছুর দায়িত্ব নেন চাচা মেহের তালুকদার ..!!!
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা,সফল নেতা ও সংগঠকের ছবি এখনো শোভা পাচ্ছে গোপালগঞ্জ আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে..!!!
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি: মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি স্বরূপ এই
মহান নেতাকে মরনোত্তর "স্বাধীনতা পুরস্কার" প্রদান করা হোক !!!
এই মহাপুরুষের সমগ্র জীবন কাহিনী নিয়ে আমরা শীঘ্রই আসছি....
"আলোচিত বার্তা"র পক্ষ থেকে..
আমাদের সঙ্গেই থাকুন..!!!