গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ১৫ মাস পরে আশা এনজিও কর্মী রায়চরনের লাশ উদ্ধার।

মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার মুকসুদপুরের গোবিন্দুপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের একটি কলা বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য রায় চরনকে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর খুন করে তার লাশ বস্তাবন্দী করে কলাবাগানে পুতে রাখে ওই গ্রামের মাহমুদুল হাসান সেন্টু। সেন্টু দুর্গাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। নিখোজ রায়চরন গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলার ভৈরব নগর গ্রামের বিশ্বনাথ বিশ্বাসের ছেলে। সে মুকসুদপুরে আশা এনজিওর ফিল্ড কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলো।
লাশ উত্তলনের সময় ম্যাজিট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন গোপালগঞ্জ জেলা সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদা ইউসুফ। এসময় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ সিআইডির সিনিয়র এএসপি জাহাঙ্গীর আলম, মুকসুদপুর থানার ওসি মীর্জা আবুল কালাম আজাদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপালগঞ্জের সিআইডির এএসআই রবিউল ইসলামসহ সিআইডি ও মুকসুদপুর থানা পুলিশ।
গোপালগঞ্জ সিআডি পুলিশের ইন্সপেক্টর ফাতেহ মোহাম্মদ ইফতেখার আলম জানান ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামী সেন্টুকে নজরদারীতে রাখা হয়েছিল । পরবর্তীতে এনজিও কর্মীর ব্যবহত মোবাইল ফোনের আইএমি নাম্বার ট্রেস করে পাওয়া গেছে বরগুনার তালতলীতে খুনী সেন্টুর স্ত্রীর বড়বোন নারগীসের কাছে ব্যবহত হচ্ছে। তাকে আনার পর সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে সে স্বীকারক্তী দেয় যে তাকে খুন করে কলাবাগানে পুতে রাখা হয়েছে।