সিগনাল বাতি না জ্বলায় গোপালপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষকসহ ৩ জনের মৃত্যু
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
আজিমনগর (গোপালপুর) রেল স্টেশন। এই স্টেশন দিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, সান্তাহার, পাবনা রুটের প্রতিদিন ৬০ থেকে ৬৫ টি ট্রেন চলাচল করে। স্টেশনের অদুরে রয়েছে ব্যাস্ততম রেলগেট। শত শত যানবহন সহ এ গেট দিয়ে চলাফেরা করে হাজার হাজর মানুষ। কিন্তু এতো গুরত্বপূর্ণ স্টেশনে নেই স্টেশন মাষ্টার। তাই জ্বলেনা সিগনালবাতি। আর এ কারনেই হরহামেসাই ঘটছে দুর্ঘটনা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের শেষ দিনে ঘটে গেল স্মরনীয় দুর্ঘটনা। শনিবার দুপুরে নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর রেলগেট এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বেনজুর নামের অপর একজন প্রাণে বেঁচে গেছে। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে একটার দিকে উপজেলার গোপালপুর রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে ও ঈশ্বরদীর সাহাপুর আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন (৬৩) ওরোফে মুনতাজ মাষ্টার, নারায়নপুর গ্রামের বাচ্চু শেখের পুত্র জমির উদ্দিন (৬২) ও বেনজুরের স্ত্রী সাথী বেগম (৩৫)।
স্থাণীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ওই ৪ জন গোপালপুর রেলগেট থেকে রেল লাইন দিয়ে নারায়নপুরের দিকে জাচ্ছিল। এমন সময় তাদের সামনে থেকে একটি মালগাড়ি আসলে তারা পাশের লাইনে অবস্থান নেয়। ওই সময় পিছন থেকে রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেন আসলে ওই ট্রেনে কাটা পড়ে ওই তিন জনের মৃত্যু হয়। তবে আকস্মিকভাবে সাথী বেগমের স্বামী বেনজুর রহমান প্রাণে বেঁচে যায়। এলাকাবাসি জানায়, আজিমনগর রেল স্টেশনে স্টেশন মাষ্টার না থাকায় সিগনাল বাতি বন্ধ থাকে, তাই প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত এ স্টেশনে স্টেশন মাষ্টার নিয়োগের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।