তুরস্ককে করোনা মোকাবিলায় সাহায্য দিবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী
তুরস্কসহ অন্যান্য দেশের সেনাবাহিনীকে করোনাভাইরাস মোকাবিলার সাফল্যজনক অভিজ্ঞতা সরবরাহ করতে নিজের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছে ইরান। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল মুহাম্মাদ বাকেরি তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে তেহরানের এ প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেন।
টেলিফোনালাপে তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এই মহা সাফল্য অর্জনের জন্য ইরানকে অভিনন্দন জানান এবং তুরস্কে করোনা ভাইরাসের ব্যাপক প্রকোপের সর্বশেষ করুন পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি এ কাজে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে সাহায্য প্রত্যাশা করেন এবং ইরানীদের সাহায্য গ্রহণ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
তুরস্কে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২,০০০ জন করোনাতে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ৯০০ জন করোনাতে মারা গিয়েছে।
তুরস্কে যখন প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ৪,০০০ এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন একই সময়ে ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৭০০ এর মত।
টেলিফোনালাপে জেনারেল বাকেরি বলেন, আমেরিকার অর্থনৈতিক ও চিকিৎসা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামর্থ্য ও সক্ষমতার কারণে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে তেহরান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই সাফল্যে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ এবং প্রায় ১০ লাখ স্বেচ্ছাসেবী তরুণ-তরুণী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থাপনা, উন্মুক্ত স্থান, রাস্তাঘাট ও ভবনকে জীবাণুমুক্ত করার কাজে দেশের তিন হাজার স্থানে ঘাঁটি স্থাপন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। জেনারেল বাকেরি বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী নিজে আট হাজার করোনা রোগীকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়েছে। এ কাজে সশস্ত্র বাহিনীর স্থায়ী হাসপাতালগুলোর তিন হাজার শয্যার পাশাপাশি ফিল্ড হাসপাতালগুলোর ১১ হাজার শয্যা ব্যবহার করা হয়েছে।
করোনা মোকাবেলায় ইরানের এই বড় সাফল্যকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গোটা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় রোল মডেল বলে ঘোষণা করেছে।