যশোর বেনাপোল বন্দর দিয়ে এলো টিসিবির ৭ ট্রাক পেঁয়াজ

 প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:১৭ অপরাহ্ন   |   খুলনা




মনা,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

উৎপাদন সংকটে ভারতের রফতানি মূল্য বৃদ্ধিতে এক প্রকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও সরকারিভাবে (টিসিবির) পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।


শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রথম চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭ ট্রাকে ২০১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। জানা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৫৫ টাকা পড়লেও অর্ধেক মূল্যের বেশি ভর্তুকি দিয়ে এসব পেঁয়াজ ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে বিক্রি করবে সরকার। দ্রুত যাতে পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় সব ধরনের সহযোগিতা করছে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।


এদিকে নানান প্রতিবন্ধকতায় পেঁয়াজ আমদানি কমায় দিন দিন দাম বাজার ঊর্ধ্বমুখী। তবে সরকারিভাবে পেঁয়াজ আমদানিতে এবার দাম কমবে মনে করছেন বিক্রেতারা। গত বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে টিসিবির ৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। তখন পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়েছিল ৪০ টাকার মধ্যে।


বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্রব্য মূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের কিছুটা স্বস্তি দিতে গত কয়েক বছর ধরে দেশের এক কোটি এক লাখ পরিবারের কাছে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য বিক্রি করে আসছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে প্রত্যেক পরিবারের জন্য ২ কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫ কেজি চাল।


বেনাপোল বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা হযরত জানান, পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় বর্তমানে ৬৫ টাকা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে। সরকারি পেঁয়াজ আমদানিতে কমতে পারে দাম।


সরকারের ফ্যামেলি কার্ডধারী সাধারণ ক্রেতা ইব্রাহিম জানান, বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। দ্রব্য মূল্যের এই চড়া বাজারে সরকারিভাবে আমদানি পেঁয়াজ কম দামে কিনতে পারবো।


বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, খাওয়ার উপযুক্ত হওয়ায় বন্দর থেকে পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।


বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, দ্রুত যাতে টিসিবির পেঁয়াজ বন্দর থেকে ছাড় হয় ২৪ ঘণ্টা বন্দর সচল রেখে কাজ করা হচ্ছে।

খুলনা এর আরও খবর: