যশোরের ঝিকরগাছার সালেহা ক্লিনিকের নাম পরিবর্তন করে আবারও নতুন আঙ্গিকে আশার পরিকল্পনা
আব্দুল জব্বার, যশোর জেলা ব্যুরো প্রধান।।
যশোরের ঝিকরগাছা পৌর সদরের মোবারকপুরের সমালোচিত সেই সালেহা ক্লিনিকের মালিক, শরিফুল ইসলাম @ শরিফ উদ্দিন সকল দপ্তরকে ম্যানেজ করে আবারও নতুন আঙ্গিকে নতুন নামে, ক্লিনিক খোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সালেহা ক্লিনিকের মালিক শরিফ উদ্দিনের ক্লিনিকটি ১ সেপ্টেম্বরের পর হতে বন্ধ থাকার পরে, খোলার মত কোন প্রকার সিদ্ধান্ত না পেয়ে, তিনি এখন তার মায়ের নামের প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে মায়ের বিপরীতে ছেলে তার নিজ নামে নতুন আঙ্গিকে আবারও ক্লিনিক চালু করার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।
সমালোচিত সালেহা ক্লিনিকটি ১ সেপ্টেম্বর বিকালে সিভিল সার্জেন শেখ আবু শাহিন পৌর সদরের, মোবারকপুরস্থ সালেহা ক্লিনিকের প্রবেশ করেন। ঠিক সেই মুহুত্বে এ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই সালেহা ক্লিনিকের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও সালেহা ক্লিনিকের মালিক শরিফুল ইসলামকে, এ্যানেসথেসিয়া ছাড়া সিজার অপারেশন করতে দেখে। তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ হাবিবুর রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ রশিদুল আলম ও ঝিকরগাছা থানার জরুরী অফিসার এসআই সিরাজুল ইসলাম, অবগত করে তাদের উপস্থিতিতে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও ক্লিনিক মালিককে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় এবং ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে রাতে একপর্যায়ে থানা থেকে মুচলেকা নিয়ে, তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মালিক শরিফ উদ্দিন বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও শেষ পর্যন্ত তার প্রতিষ্ঠানের কোন সুরাহা না হওয়ায়, তিনি আবারও অন্য নামে নতুন আঙ্গিকে ক্লিনিক খোলার পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে। সালেহা ক্লিনিকের মালিক শরিফ উদ্দিন বিরুদ্ধে নার্সে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে, একাধিক নারী কেলেঙ্কারীরও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তার অর্থের কাছে জিম্মী হয়ে কেউই তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বা কথা বলতে সাহস পায়নি। আবার এখনতো তিনি বড় মাপের সাংবাদিক হয়েছেন।
সমালোচিত সেই সালেহা ক্লিনিকের মালিক শরিফুল ইসলাম @ শরিফ উদ্দিন যেন আবারও নতুন আঙ্গিকে নতুন নামে ক্লিনিক খুলে আবারও প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য যশোর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, সিভিল সার্জেন, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পৌর মেয়র, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারের নিকট একান্ত দাবী করেছেন, ঝিকরগাছা উপজেলা ও পৌরসভার সচেতন মহল। ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঝিকরগাছা পৌরসভা কার্যালয়ে পৌর মেয়রের সামনে শরিফ উদ্দিন, তার পিতা-মাতা ও কিছু কাগজপত্র নিয়ে হাজির হন। সালেহা ক্লিনিক নামক প্রতিষ্ঠানটি মায়ের নামের পরিবর্তে নিজের নামে করা জন্য। পৌরসভা থেকে নতুন ট্রেড লাইসেন্স বের করতে। উক্ত সময় স্থানীয়রা শরিফ উদ্দিনের বিষয় পৌর মেয়রকে অবহতি করলে, তিনি ট্রেড লাইসেন্স না দিয়ে কোর্টের মালিকানার সকল কাগজপত্র দিয়ে অনুমতি নিয়ে আসার জন্য বলেন।
ঝিকরগাছা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেবা’র সভাপতি মাস্টার আশরাফুজ্জামান বলেন, সিভিল সার্জন কতৃক অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ হওয়া, ক্লিনিক যদি আবার নতুন নামে খুলে সেই পুরাতন কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয় তবে বিষয়টি হবে অত্যান্ত দুঃখজনক। এরকম ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে তার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ঝিকরগাছা পৌরসভা কার্যালয়ের মেয়র আলহাজ্ব মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল বলেন, সালেহা ক্লিনিকের মালিক শরিফুলকে আমি চিনি না। তবে সে যে সময় আমার কাছে নতুন লাইসেন্সের জন্য এসেছিল। ঠিক সেই মুহুত্বে তার বিরুদ্ধে স্থানীরা আমাকে অবগতি করেন। তখন আমি তার লাইসেন্স না দিয়ে তাকে কোর্ট থেকে অনুমতি আনতে বলেছি।
সিভিল সার্জেন শেখ আবু শাহিন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিকট এখনো পর্যন্ত এমন কোন তথ্য অসেনি।
উল্লেখ্য, সালেহা ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সরকারী চোরাই ঔষধ বিক্রয়ের জন্য ৭ বছর পূর্বে ওয়াপদাহ রোডে ক্লিনিক থাকা অবস্থায় ২ বার ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। যার পরিপেক্ষিতে স্থানীয়দের চাপের উপর ভিত্তি করে সে তার, সালেহা ক্লিনিকটি স্থান পরিবর্তন করে বর্তমানে মোবারকপুর নিমতলাস্থ মনোয়ারা কমপ্লেক্সের ২য় তলায় স্থানান্তর করে। সালেহা ক্লিনিকের মালিক ছিলেন উপজেলার ৬নং ঝিকরগাছা ইউনিয়নের বেড়েলা গ্রামের আমজাদ হোসেন এর ছেলে শরিফ উদ্দীন। আর শরিফ উদ্দীন সালেহা ক্লিনিকের মালিক হয়ে এখন হয়েছে শরিফুল ইসলাম শরিফ। সালেহা ক্লিনিকের ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর ১৩ তারিখে ৬নং ঝিকরগাছা ইউনিয়নের আনসার ও ভিডিপির দলনেত্রী, উপজেলার মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪) জেলার ৬ নং ওয়ার্ডের শিক্ষিকা বৈশাখী আক্তার বিথী (২৬) কে জোরপূর্বক নরমাল ডেলিভারী করায় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে বৈশাখী আক্তার বিথির মৃত্যু হয়।
শরিফুল ইসলাম শরিফের প্রতিষ্ঠান সালেহা ক্লিনিকে, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সরকারী চোরাই ঔষধ বিক্রয়ের জন্য ৭ বছর পূর্বে ওয়াপদাহ রোডে, ক্লিনিক থাকা অবস্থায় ২ বার তার ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। যার পরিপেক্ষিতে রাজনৈতিক চাপের উপর ভিত্তি করে, সে তার সালেহা ক্লিনিকটি স্থান পরিবর্তন করে বর্তমানে পৌরসভার অর্ন্তগত মোবারকপুর নিমতলাস্থ, মনোয়ারা কমপ্লেক্সের ২য় তলায় স্থানান্তর করে। বর্তমানে সে ওখানে ব্যাপক হারে অনিয়ম ও দূর্নীতি শুরু করেছে।
তার অপকর্মের মধ্যে রয়েছে সে কখনও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হয়ে, ডাক্তারের প্যাড ব্যবহার করে রোগী দেখেন, সরকারী চোরাই ঔষধ বিক্রয় করেন, ক্লিনিকের ফ্রিজে রক্ত রাখেন এবং সেই রক্তের সাথে রান্না করা খাবারও রাখেন। ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখে সালেহা ক্লিনিকের মালিক শরিফুলের ক্লিনিকে সরকারি ঔষধ রাখার জন্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আঃ জলিল প্রায় ১ লক্ষ টাকা মূল্যের সরকারি ঔষধ জব্দ করেন এবং মেডিকেল প্রাকটিশনার এন্ড বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী অধ্যাদেশ-১৯৮২ আইনে নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চা