আতিক ফাউন্ডেশন" এর কমিটি গঠন
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার:
আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত "আতিক ফাউন্ডেশন" ২০২৫ সেশনের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কুমড়াকাপন গ্রামের লন্ডন প্রবাসী আতিকুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক সংগঠন আতিক ফাউন্ডেশন এর নবগঠিত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মো. আতাউর রহমান কে উপদেষ্টা এবং মো. রুজেল আহমদ কে সভাপতি, হিফজুর রহমান সিজিল কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে নবগঠিত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়াও আতিক ফাউন্ডেশনের নব গঠিত কমিটির মধ্যে মো. ফেরদৌস মিয়াকে সিনিয়র সহ সভাপতি, রিফাতুর রহমান রিমন কে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মো. মান্না মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মো. শাহরিয়ার হোসেন মাহী কে কোষাধ্যক্ষ এবং শাহাদাত হোসেন জিবু কে কার্যকারী সদস্য হিসাবে নির্বাচিত করা হয়।
জানা যায় মানবতার সেবায় নিয়োজিত আতিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্টার পর থেকে প্রায় সময় বিভিন্ন মানবিক কাজ করা হয়। পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ প্রজেক্ট, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, এতিম, অসহায়, দরিদ্রদের আর্থিক সহায়তা, সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, চিকিৎসা সেবা সহায়তা, সাবলম্বীকরণ প্রজেক্ট, শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ প্রজেক্ট, ইফতার বিতরণ প্রজেক্ট, ঈদ উপহার বিতরণ প্রজেক্ট, ঘর নির্মাণে সহায়তা প্রজেক্ট, সেলাই মেশিন বিতরণ প্রজেক্ট, মসজিদ মাদ্রাসায় সহযোগিতা প্রজেক্ট, এতিম শিশুদের সহযোগিতা প্রজেক্ট, অসহায় মেয়ের বিবাহে সহযোগিতা প্রজেক্ট, টিউবওয়েল বিতরণ প্রজেক্ট, বন্যার্তদের ও দূর্যোগকালীন সহায়তা, খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণ ইত্যাদি।
আতিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লন্ডন প্রবাসী মো. আতিকুর রহমান ফোনালাপে বলেন, গ্রামের মানুষদের জন্য কাজ করতে চাই যার কারনে ব্যক্তিগত ভাবে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করি। নিজ গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের জন্য ভালো কাজ করতে পারলে নিজের আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, আতিক ফাউন্ডেশন নিয়ে আমার পরিকল্পনা একটু ভিন্ন রকম আমি চাই সাধারণত ফাউন্ডেশন গুলো যেভাবে চলে ফান্ডিং করে কিছু মানুষকে খাওয়ানো, কাপড়চোপড় দেওয়া এটা আসলে একটি খন্ডকালীন প্রক্রিয়া, আমি এই ক্ষুদ্র প্রক্রিয়া গুলোর পাশাপাশি আমার নিজ এলাকার অসহায় মানুষের জন্য সাধ্যনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা উন্নয়ন করতে চাই। সাবলম্বীকরণ প্রজেক্ট এর মাধ্যমে গ্রামে কার সহায়তা দরকার আমরা ঐ মানুষকে আমাদের টিমের মাধ্যমে সঠিক খোঁজ, খবর নিয়ে তার যদি সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তাহলে এমনভাবে সহায়তা করবো যেন কখনও আর তাকে হাত পাততে না হয়। তাকে এমন কর্মসংস্থান করে দিতে চাই যেন সে নিজেই আয় রোজগার করে তার সংসার পরিচালনা করতে পারে। এই রকম প্রজেক্ট বছরে একটি করার চেষ্টা করবো। এইসব প্রজেক্ট চলমান থাকবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।