রূপসায় কেডিএ’র বরাদ্দকৃত স্থাপনা অপসারনের মালামাল হরিলুট।
জিয়াউল ইসলাম, ব্যুরোপ্রধান খুলনাঃ
রূপসায় কেডিএ’র বরাদ্দকৃত স্থাপনা অপসারনের মালামাল হরিলুট চলছে। খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণের লক্ষে রূপসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ ম্যাচ কোম্পানি পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের পাঁকা ও কাঁচা স্থাপনা অপসারনের দরপত্র দেওয়া হয়। দরপত্রটি ক্রয় করেন মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজ। তবে স্থানীয়দের প্রভাবের কারণে স্থাপনা অপসারন করতে পারেন নি দরপত্র ক্রয়কারী ঠিকাদার। ঠিকাদারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থাপনা হরিলুট করছে এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
এ বিষয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (ডায়েরী নং- ১৩৪৩) করেন মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী সরদার সেলিম হোসেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি কেডিএ’র বাস্তবায়নাধীন খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়নে শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণকৃত জমির স্থাপনা অপসারন টেন্ডারের আলোকে প্যাকেজ-১ সিডিউলের আওতায় রাস্তার দুই পাশের পাঁকা ও কাঁচা স্থাপনা দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে তিনি কাজটি বিক্রি করেন লবণচরা বাজারের মেসার্স আফরিয়া এন্টারপ্রাইজের নিকট। আফরিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শেখ মোঃ ইনামুল কবির গতকাল শনিবার স্থাপনা অপসারন করতে গেলে এলাকার কয়েকজন জমির মালিক তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখায় এবং মারমুখি আচরণ করে। এ বিষয়ে মৌখিকভাবে কেডিএ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা বলে, ছুটির দিন বিধায় কিছু করতে পারব না, রোববার অফিস খুললে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপায়ন্তর না পেয়ে গতকাল শনিবার ইনামুল কবির সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিন কেডিএ, সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় বন্ধ থাকায় অসাধু জমির মালিকগণ এ সুযোগে ঠিকাদারের অনুমতি ব্যতিত নিজেরাই স্থাপনা অপসারণ করে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। এর ফলে তিনি তার প্রাপ্য অপসারনের মালামাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।