আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের আত্মাটাকে ধ্বংস করেছে যশোরে :

 প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন   |   রাজনীতি



মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


মনা, যশোর শার্শা উপজেলা প্রতিনিধিঃ

যশোর জেলা বাংলাদেশ জাতীয়বাদী বিএনপি'র ফ্যাসিবাদ দীর্ঘ আন্দোলন ও আজকের প্রেক্ষিত নাগরিক ভাবনায় বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের মহাসচিব মীরজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  


২২ শে নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের মিলনায়তনে অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়। 


এ সময় প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,৫ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যারা হতাহত হয়েছেন, শহীদি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন, হাত-পা-চোখ-কান হারিয়ে যারা এখনো জীবনযুদ্ধে লড়াই করছেন, সবার প্রতি জানাই অসীম শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনাদের চরম আত্মত্যাগের কারণেই, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ’৭১-এর ডিসেম্বরে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পর, স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করেছে, একইভাবে ৫ই আগস্ট হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্তটিকেও একইভাবে উপভোগ করেছে। বাংলাদেশের মানুষের মতো লন্ডনের শহীদ আলতাব আলী পার্কসহ বিভিন্ন শহরে প্রবাসে আমি বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ও আনন্দ দেখেছি। ৫ই আগস্টের ঐতিহাসিক সময়ে আমি যত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁবেদার হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে সবার একটাই প্রতিক্রিয়া ছিল- স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। দ্বিতীয় স্বাধীনতা।


তিনি আরও বলেন, যুগে যুগে অনেক ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার রাষ্ট্র কিংবা রাজ্য দখল করে। অবৈধভাবে নিজের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যার ঘটনাও বিশ্বের ইতিহাসে অজানা নয়। নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে সুসংহত করার জন্য কিংবা নিজ দেশের স্বাধীনতা কিংবা শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করার জন্য, বিশ্বের ইতিহাসে অনেক ফ্যাসিস্ট কিংবা স্বৈরাচারী শাসক, গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। তবে বিশ্বের ইতিহাসে বোধ করি বঙ্গকসাই হাসিনাই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি নিজ দেশের স্বাধীনতাকে অন্য দেশের হাতে তুলে দিতে নিজ দেশের জনগণকে হত্যায় লিপ্ত হয়েছিলেন। হাসিনার দুঃশাসনকালে দেশের জনগণ টের পেয়েছে, জনগণ নিজ দেশেই পরাধীন। গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর স্বাধিকার হারাতে হারাতে শেষপর্যন্ত তাঁবেদার হাসিনা বাংলাদেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে পৌছিয়েছিল, স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকগণ গরুর গোশত খেতে পারবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছিল। এ কারণেই আমরা দেখেছি, ৫ই আগস্ট হাসিনামুক্ত বাংলাদেশকে জনগণ দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে অভিহিত করেছে।  


উপস্থিত ছিলেন, প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত,যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইউব, আবুল হোসেন আজাদ, সাবিরা নাজমুল মুন্নী ও যশোর জেলা বি এন পির সহদ্য সচিব এডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি এর আরও খবর: