ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল

ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিনিধিঃ হাসিনুজ্জামান মিন্টুঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে জুলাই যোদ্ধার ব্যানার সাঁটিয়ে কার্যক্রম-নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয় দখলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে শহরের টিএফসির কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘জুলাই যোদ্ধা’ সংগঠনের আহ্বায়ক রায়হান অপু। তিনি বলেন, আমি একজন গুলিবিদ্ধ জুলাই যোদ্ধা। গত বুধবার ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় একটি বিধ্বস্ত পরিত্যক্ত পোড়া ভবন আমরা পরিষ্কার করেছি। যেটি ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে আমরা জানতাম। ভবনটি পরিষ্কার করার পর আমাদের সংগঠনের ব্যানারটি সাঁটিয়ে দিই এবং আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরি। কিন্তু আমাদের সে কার্যক্রমকে অনেকেই নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকেই ভাবছেন আমরা এ ভবন দখলে নিয়েছি। দখল ভাবাটা আক্ষরিক অর্থে দোষের কিছু না। আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। তাই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আবারও বলছি, আমরা এ ভবনটি মোটেও দখলে নিইনি। তবে যেহেতু আওয়ামী লীগের অফিসটি খাস জমির ওপর এবং এটি তারা সরকারি লিজের মাধ্যমে নিয়েছিল, তাই এভাবে আমাদের ব্যানার লাগিয়ে অফিসে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের ব্যানারটি নামিয়ে ফেলেছি। আমরা পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া মেনে তাদের লিজ বাতিল করে নতুন করে লিজ নেওয়ার চেষ্টা করব।
এ সময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার পর থেকে তিন তলা বিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি পরিত্যক্ত ছিল। গত বুধবার দুপুরে শহরের চৌরাস্তায় বঙ্গবন্ধু সড়কের ওই কার্যালয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামের সংগঠনটি নিজেদের সাইনবোর্ড ও ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়। এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য ও পোস্ট করে তাদের এ কার্যক্রমের সমালোচনা করেন জেলার সুশীল সমাজসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।