ইঁদুরের আক্রমণে দিশেহারা রায়গঞ্জের ধানচাষীরা

 প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন   |   কৃষি ও প্রকৃতি



সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : একেতো সার,সেচ,কীটনাশকের মুল্য বৃদ্ধি,তার উপর আবার ইঁদুরের উপদ্রপে বিপাকে পড়েছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানচাষীরা। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এক শ্রেণীর ইঁদুর ইরি-বোরো ধান গাছের গোড়া কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। আবাদের শেষ প্রান্তে এসে ইঁদুরের উপদ্রপে কৃষককুল দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষকরা বাড়ির নিকটস্থ ধান ক্ষেতে ঢনঢনি বেঁধে প্রতিকারের চেষ্টা করছে। কেউবা বিষযুক্ত খাবার, ন্যাপথোল,বিভিন্ন কোম্পানীর নামী-দামী ঔষধ ব্যবহার করছে। আবার কিছু কিছু এলাকায় বাঁশ বা কঞ্চির সাথে পলিথিন কাগজ বেঁধে ইঁদুরের আক্রমণ হতে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছে। ইঁদুরের উৎপাতে দিশেহারা হয়ে কেউ কেউ আবার ধান গাছ রক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে বাঁশের তৈরি ইঁদুর মারার ফাঁদ  ব্যবহার করছেন। ধানক্ষেতে এভাবে  ইঁদুরের উপদ্রপ অব্যাহত থাকলে    কৃষকদের এবার লোকসান গুনতে হবে। তাই ইঁদুরের উপদ্রপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।

রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো আবাদ গতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি হয়েছে। গত বছর ৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল। গতবারের চেয়ে এবার আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এবার উপজেলায় ১০ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ হয়েছে। ইঁদুরের উপদ্রপের কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এমন খবরও জানা গেছে। প্রতিকারের চেষ্টায় কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের মাঠে গিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  

 উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম  জানান, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ইঁদুর নিধনে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। দেশীয় পদ্ধতিতে ইঁদুর মারার ফাঁদ, বিষ,গর্তে পানি ভরিয়ে ইঁদুর তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। 

তিনি আরও জানান, ইঁদুর মারার জন্য ল্যানিরাট, ক্রর‌্যাট-ই জাতীয় কীটনাশক প্রয়োগের ফলে ইঁদুর অনেক সময় ক্ষেতে না মরে অন্য জায়গায় মরছে। আমরা কৃষকদের এভাবে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি।

কৃষি ও প্রকৃতি এর আরও খবর: