যশোরে মাছের পোনা বিক্রয় কেন্দ্র নির্মাণের আড়াই বছরেও চালু করা যায়নি।

 প্রকাশ: ২৮ মে ২০২২, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন   |   কৃষি ও প্রকৃতি



আব্দুল জব্বার, যশোর জেলা ব‍্যুরো প্রধান।।


যশোরের চাঁচড়ায় মাছের পোনা বিক্রয় কেন্দ্র নির্মাণের আড়াই বছর পরও, মৎস্যপল্লী খ্যাত চালু করা যায়নি মাছের পোনার আধুনিক বিক্রয় কেন্দ্র। প্রতিদিন গড়ে অর্ধশত ট্রাক সেখানে রেণুপোনা নিতে যায়। 


স্থানীয়রা বলছেন, এই অবকাঠামো ব্যবহার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এতে আরও বিকশিত হবে রেণু-পোনার ব্যবসা, বাড়বে কাজের সুযোগ। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, রেণুপোনা নিতে যাওয়া ট্রাকগুলো পার্কিংয়ের জন্যে নেই সুপরিসর জায়গা। ট্রাক পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়েই চলছে রেণু বেচাকেনা।


সারাদেশে মাছের রেণু-পোনার চাহিদার ৬০ ভাগ যোগান দেয় যশোর। বছরে উৎপাদন হয় ৬৮ হাজার কেজি রেণু। মহাসড়কের পাশেই ঝুঁকি নিয়ে মাছ চাষিরা রেণু-পোনা বিক্রি করে আসছেন। এ পরিস্থিতিতে স্থায়ী বাজারের দাবি তোলেন জেলার মাছ চাষী ও ব্যবসায়ীরা। দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে, শহরতলীর চাঁচড়ায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অধিদফতর পোনা বিক্রয় কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর পরের বছরের মাঝামাঝি সময়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মৎস্য কর্মকর্তাদের কাছে ভবনটি বুঝিয়ে দেয়। 


কিন্তু মৎস্য চাষীরা বলছেন, এটি ব্যবহার উপযোগী হয়নি। নেই ট্রাক পার্কিংয়ের সুবিধা। জেলা মৎস্য হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদারের অভিযোগ, এই অবকাঠামোর পুরোপুরি সুফল মিলছে না। যে কারণে বাধ্য হয়েই মহাসড়কের পাশেই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে।


জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ জানালেন, জায়গা বরাদ্দের আহ্বান জানিয়ে পত্রিকায় কয়েকদফা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মৎস্য অধিদফতর। আবেদনের ভিত্তিতে মাত্র ১১১ জনের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। অনেক ব্যবসায়ীর এখানে আসার আগ্রহ নেই। জেলায় দেড় লাখ শ্রমশক্তি মাছের রেনু ও পোনা উৎপাদনের সাথে জড়িত।

কৃষি ও প্রকৃতি এর আরও খবর: