পার্বত্য অঞ্চলে দেশি ফলের সম্ভাবনা অপরিসীম: পানছড়িতে জাতীয় ফল মেলা-২০২৫ অনুষ্ঠিত

মোঃ মুবিনুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো *জাতীয় ফল মেলা-২০২৫* যার প্রতিপাদ্য ছিল—“দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই”। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার *ফারহানা নাসরিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার ইব্রাহীম খলিল (ভারপ্রাপ্ত)* অফিসার ইনচার্জ *মো. জসীম উদ্দিন* এবং উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
ফল প্রদর্শনীতে ছিল পাহাড়ি অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় ফল
মেলায় দেশি ও উন্নত জাতের ফলের সমারোহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রদর্শনীতে ছিল হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, আম্রপালি ও কেসার জাতের আম, ড্রাগন ফল, টপ লেট জাতের আনারস, মালটা, পেয়ারা, জামরুল এবং বারি জাতের কিছু বিশেষ ফল।
খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়ি জমিতে ফল চাষের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। উঁচু-নিচু জমি, উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ড্রাগন ফল, মাল্টা, কমলা, আনারস, আমসহ বহু ফলের বাণিজ্যিক চাষ দিন দিন বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে উন্নত জাতের চারা রোপণ ও কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদন ও আয়—উভয়ই বাড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার *ফারহানা নাসরিন বলেন,
*দেশীয় ফলের চাষ বাড়াতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পার্বত্য এলাকার জনগণ যদি বাড়ির আঙিনায় ফল গাছ রোপণ করেন, তাহলে নিজের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করেও লাভবান হতে পারবেন।”**
উপজেলা কৃষি অফিসার *ইব্রাহীম খলিল (ভা.)* বলেন,
আমরা পার্বত্য এলাকার কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের চারা বিতরণ ও প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। ফল চাষের মাধ্যমে একদিকে পুষ্টি চাহিদা পূরণ, অন্যদিকে আর্থিক সাশ্রয় ও আয়—দুটোই সম্ভব।”
অফিসার ইনচার্জ মো. জসীম উদ্দিন বলেন,
“এই ধরনের মেলা সামাজিক সচেতনতা তৈরি করে। পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো ও দেশীয় ফল চাষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
মেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষক, ও সাধারণ মানুষ উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপী এ আয়োজনটি উপজেলার কৃষি উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে উঠেছে।