শৌলডুবী বেগুন চাষীদের মাথায় হাত ৮০ থেকে ১০০ টাকা প্রতিমণ৷.

 প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২০, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন   |   কৃষি ও প্রকৃতি


আবুল আল হাচান,সদরপুর প্রতিনিধি৷


            পাপাচার করেছে গ্রাস,

            বেদনায় ভারী তাহারবুক,

             হাহাকার বাধা শংকায়,

            পৃথিবীর হয়েছে যেঅসুখ

                          

তাবিব মাহমুদের গানের কথাগুলো যে কারও মন ছুঁয়ে যাবে,পৃথিবীর হয়েছে যে অসুখ!পৃথিবীর অসুখের নামটা যে করোনা নামক অদৃশ্য,মারাত্নক এক প্রানঘাতী ভাইরাস৷পৃথিবী আজ অচল,কোথাও নেই কোলাহল ছুমছাম নিরবতা চারদিকে ছেঁয়ে গেছে৷অর্থনৈতিকভাবে পৃথিবী যে পিছিয়ে যাবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না৷বাংলাদেশে করোনার থাবায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ মৌসুমি ফসল৷সদরপুর উপজেলায় কৃষ্ণপুর ইউনিয়ানে সবচেয়ে বেশি বেগুন চাষাবাদ করা হয়েছে৷এ বছর প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করা হয়েছে৷এই অঞ্চলের বেগুন সারাদেশের সবজির চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হত৷আসন্ন রমজান উপলক্ষে ব্যাপক বিক্রির সম্ভবনা থাকলেও করোনার জন্য সেটার সম্ভবনা নেই৷কৃষকের সব খরচ শেষ এখন শুধু অপেক্ষা বিক্রি করে ধার,দিনা শোধ করে লাভের অংকটা জমা করা৷বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রতিমন বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা!কৃষকের দাবি খরচের ৭ ভাগের ১ ভাগও ওঠা সম্ভব না৷বেগুন ক্ষেতের কাজে নিয়োজিত এক জন শ্রমিকের বেতন দৈনিক ২৮০-৩০০ টাকা৷বর্তমান সময়ে ৮০-১০০ টাকা মন বিক্রি করাও খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার৷অনেক কৃষক বেগুন বিক্রি না করে গরু,ছাগলের খাদ্য হিসাবেও ব্যবহার করছে৷করোনার জন্য বেকার প্রায় ১ হাজার মৌসুমি বেগুনের সাথের জড়িত ব্যবসায়ি,কর্মচারি সবাই আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে৷এমন ভাবে চলতে থাকলে কৃষকেরা আগামি মৌসুমে হয়ত বেগুন চাষ থেকে বিরত থাকবে৷