করোনা সমস্যার মধ্যেই বুড়িচংয়ে পাওয়া গেল নবজাতক।

মারুফ হোসেন-কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বাকশীমুল ইউনিয়ন পরিষদের বুড়িচং- কালিকাপুর রেললাইনে পাওয়া গেছে একটি নবজাতক। শুক্রবার ভোর ৫ঃ৩০ টার সময় বাকশীমুল গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন (৫০) এ নবজাতক শিশুটি রেললাইনের পাশে সড়কের ব্রীজের উপর পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে গামছা দিয়ে মুড়িয়ে পরম মমতায় বাড়িতে নিয়ে যান।
অনেকে ধারণা করছে-জন্মের পর পরই তাকে কোনো মা এখানে ফেলে রেখে যান। মাছ ব্যবসায়ী মোঃ দেলোয়ার হোসেন রিক্সা দিয়ে ভোরে বাজারে যাওয়ার পথে রেললাইনে দ্বারে পোঁছলে নবজাতকের কান্না শুনতে পান। তারপর রিক্সা থামিয়ে কাছে যান । লক্ষ্য করেন নবজাতক ছেলে শিশুটি কাপড় দিয়ে মুড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। হাত-পা নাড়াচ্ছে ও কাঁদছে।
পরম মমতায় তিনি শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শিশুটির সেবা-যত্ন শুরু করেন।রেললাইনে পাওয়ার খবরে এলাকার শত শত মানুষ দেলোয়ার বাড়িতে ভীড় করতে থাকেন।
দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো: আব্দুল জলিল বাবার কাছে আবদার জানান শিশুটিকে সে লালন পালন করবেন এবং তিনি দাদা হিসেবে পরিচয়ে থাকবেন। তাই বাবা খুশি হয়ে ছেলে জলিলকে দিয়ে দেন।
এলাকার লোকজন এটা কোনো ভাবেই মানতে নারাজ। সবাই চায় ছেলে শিশুটিকে ভালো একটি পরিবারে স্থানান্তর করার জন্য। ছেলেটির ভবিষ্যতের কথা ভেবে দেলোয়ার হোসেনকে অনেকে প্রস্তাব করেন ভালো কোনো সন্তানহীন পরিবার শিশুটি দিয়ে দেওয়ার জন্য। ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান আমরা সবাই তাকে বুঝিয়েছি শিশুটি অন্য একটি সন্তানহীন পরিবারকে দিয়ে দেওয়ার জন্য। কারন দেলোয়ার হোসেনের নিজের পরিবার চালাতে অনেক কষ্ট হয়।
এ দিকে জলিল (২৪)জানায় আমার একটি মাত্র মেয়ে সন্তান আছে। ছেলে সন্তানটি আমি নিজেই লালন পালন করতে চায়। নবজাতক ছেলে শিশুটির নাম রাখা হয় জুনায়েদ।
এ ব্যাপরে বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান বলেন তারা যদি নবজাতক লালনপালন করতে চায় তাহলে সমাজসেবক অফিস এবং থানায় অবগত করে লালনপালন করিতে পারবে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোজাম্মেল হক পিপিএম জানান, আমরা এই বিষয়টি শুনেছি বর্তমানে তাদের আশ্রয়ে থাকুক, যদি নবজাতকে বিষয়ে পিতা- মাতার সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে প্রয়োজনী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।