আমেরিকা নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে শরীয়তপুর আবু ইউসুফ রানা

 প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন   |   প্রবাস



নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির  আবু ইউসুফ রানা নামের এক প্রবাসী তরুণ, নিজের প্রতিভা, অধ্যবসায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (NYPD)-এর সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।




আবু ইউসুফ রানার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কীর্তিনগর গ্রামে। ২০০৫ সাল থেকে তিনি ঢাকার মধ্য বাড্ডায় বেড়ে ওঠেন। ফ্যামিলির মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট, এবং তার বড় ভাই জুয়েল রানা-ও বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টতে কর্মরত আছেন—যা এই পরিবারটির জন্য এক অসাধারণ সম্মান এবং পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।



২০১৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পর, ২০১৪ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। স্বপ্ন ছিল প্রযুক্তি শিক্ষার—আর সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই তিনি ভর্তি হন নিউ ইয়র্ক সিটির প্রখ্যাত NYC College of Technology (CityTech)-এ, যেখানে তিনি Information Technology বিষয়ে পড়াশোনা করেন।শুধু পড়াশোনা নয়—২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি NYPD Cadet হিসেবে কাজ করেছেন। এই দীর্ঘ সাত বছরের অভিজ্ঞতা তাকে বাস্তব অভিজ্ঞতা, আইনপ্রয়োগ সংক্রান্ত জ্ঞান ও পেশাদারিত্বে দক্ষ করে তোলে, যা NYPD-তে তার ভবিষ্যতের পদক্ষেপকে সুদৃঢ় করে।২০২০ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন—যেটি তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এরপর ২০২৪ সালের অক্টোবরে তিনি New York Police Department (NYPD)-এ অফিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাভ করেন, যা তাঁর জন্য শুধু পেশাগত সাফল্য নয়, বরং দেশ-বিদেশে থাকা তরুণদের জন্যও একটি অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত।২০২৫ সালের মে মাসে তিনি NYPD থেকে অফিসিয়াল ট্রেনিং ও গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। উল্লেখ্য, NYPD শুধুমাত্র আমেরিকার নয়, বরং বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সনামধন্য পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, যেখানে কাজ করার সুযোগ পাওয়া এক বিশাল সম্মানের বিষয়।


আবু ইউসুফ রানা বলেন, “আমি বাংলাদেশি পরিচয় নিয়ে গর্ব করি। আমার এই যাত্রা তাদের জন্য উৎসর্গ করছি, যারা প্রবাসেও স্বপ্ন দেখে এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তা বাস্তবে রূপ দিতে চায়। আমি চাই—এই আমেরিকায়, আমার কর্তব্য পালনের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষ এবং আমার নিজের বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য কিছু করতে। আমি চাই এই কমিউনিটির সঙ্গে মিশে, পাশে থেকে, তাদের সেবা করতে। তাদের সুখ-দুঃখে একজন সচেতন ও নিবেদিত মানুষ হিসেবে যুক্ত থাকতে। দেশ ও বিদেশ—দুই জায়গাতেই আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।”

প্রবাস এর আরও খবর: