রাজশাহীতে শহীদ শামসুল আলমের শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত।
রাজশাহী ব্যুরোঃ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী রাজশাহী কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ শামসুল আলমের ৫০তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের যৌথ আয়োজনে এক স্মরণ সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ শাহাদাৎবার্ষিকী পালন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমান। স্মরণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বিশিষ্ট কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা। প্রধান আলোচক ছিলেন শহীদ শামসুল আলমের ছোট ভাই ও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি রবিউল আলম বাবু। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহ: সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু, রাজশাহী প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নুরে ইসলাম মিলন, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু কাওসার মাখন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, সিঃ সহ-সভাপতি সামসুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক- সাগর নোমানী, নির্বাহী সদস্য শাহিন সাগর, দৈনিক গণমুক্তির ব্যুরো প্রধান মাজহারুল ইসলাম চপল, রাজন, হারুন, সুমন প্রমুখ।
স্মরণ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্তম্ভ মূলত তিনটি। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দেশের জন্য মূল্যবান জীবনটাও বিলিয়ে দেন তারা। কিন্ত তাদের অনেকেরই স্মৃতি রক্ষা করা হয়নি। যেটি করা জরুরী। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের স্মৃতি রক্ষার্থে অবিলম্বে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই। পুনরায় জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে হবে। দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে জনগণকে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকার আহবানও জানান বক্তারা।
সভাপতির বক্তব্যে সাইদুর রহমান আরো বলেন, রাজশাহীতে সম্প্রতি স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩১ অক্টোবর সাংবাদিকদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে নেক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। সেই মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটুক্তিকারীর বিচার চাওয়া হয়েছিলো।