কাশিয়ানীতে ১ কেজি মাদকের সালিশি করলেন ইউপি সদস্য।

 প্রকাশ: ২১ অগাস্ট ২০২০, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন   |   কাশিয়ানী


গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার চর ফুকরায় ১ কেজি মাদকদ্রব্য (গাজা) কেনা বেচায় হাতাহাতির ঘটনায় ইউপি সদস্যের সালিশিতে মিমাংসা।

শুক্রবার সন্ধার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার ৭নং ফুকরা ইউনিয়নে চর ফুকরা নামক স্থানে (নদীর উপার) গাজা কেনা বেচায় এ সালিশি হয়েছে । মাদক বিক্রির সাথে জড়িতরা হলেন, চর ফুকরা গ্রামের আকরাম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২),মৃত্যু: কবির মুন্সির ছেলে লেলিন মুন্সী(৩৭), ভুলু মুন্সীর ছেলে মামুন মুন্সী(২০),মতিয়ার শেখের ছেলে মিকাইল শেখ(২২)।

সরে জমিনে জানা যায় নড়াইল লোহাগড়ার মাদক ব্যবসায়ী ইতনা গ্রামের লিটু শেখের ছেলে ইয়াসিন শেখ চর ফুকরার উক্ত ক্রেতাদের নিকট ১কেজি গাজা বিক্রি করেন। মাদকের পাওনা টাকা নিতে এলে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। বিক্রেতা ইয়াসিন ফোনের মাদ্যমে সংবাদ দিলে ইতনা থেকে কতিপয় যুবক এসে লেলিন কে চড়ঘুষি মারেন এতে হাতাহাতি হয়।

ঘটনার সময় চরে উপস্থিত ফুকরার ২নং ওয়ার্ডের মেম্মবার মোঃ মনিরুল ইসলাম মনির । গাজা কেনা বেচার বিষয়টি শুনে উভয় পক্ষকে সন্ধায় সালিশিতে ডাকেন এবং গোপনে সালিশি করে মিমাংসা করে দেন ।

স্থানীয়দের অভিযোগ মেম্মবারের ভাই রাসেল গাজা ব্যবসার সাথে জড়িত বিধায় বিষয়টি একাই মিটিয়েছেন । কিন্ত কি ভাবে ? প্রশাসনের নিকট গাজা হস্তান্তর করা হয়নি , তাহলে ১ কেজি গাজা গেলো কোথায় ?

সমাজ সেবক জাকির হোসেন মোল্লা বলেন,লোহাগড়ার মাদক ব্যবসায়ী ইতনা গ্রামের লিটু শেখের ছেলে ইয়াসিন শেখ চর ফুকরার উক্ত ক্রেতাদের নিকট ১কেজির মত গাজা বিক্রি করেন। নদীভাঙ্গা মানুষ চরের পরে সংগ্রামের মধ্যেই জীবন পার করছিলেন কিন্ত সময়ের পেক্ষাপটে বর্তমানে এই চরে মাদকদ্রব্য কেনা বেচার নিরাপদ ঘাটি হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। চরে একাদিক বার ডিবি পুলিশের অভিযান হয়েছে কিন্ত কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ ।কারণ পুলিশ প্রশাসন নদীপার হয়ে আসার আগেই পালিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। তিনি আরো বলেন,

চর ফুকরাকে মাদক দিয়ে নষ্ট করার মুলহোতা (১)শাওন শেখ (২২) (২) মোঃ সুজন শেখ তারা চর ফুকরার মোঃ ফেরদৌস শেখের ছেলে ।বড় ছেলে সুজন শেখ ঢাকায় মাদকসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়ে বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে আছে। আর তারই ছোট ভাই শাওনকে দিয়ে নিরাপদ জোন হিসাবে চর ফুকরায় গড়ে তুলেছে মাদকের নতুন সিন্ডিকেট। ওই সময় একই এলাকার দুলাল মুন্সীর ছেলে উজ্জল মুন্সী ও মৃত্যু: আয়ুব শেখের ছেলে হামিম শেখ মাদকের সাথে জড়িত ছিলো বলে জানা যায়।

এ ব্যপারে ইউপি সদস্য মনির বলেন, ১ কেজি গাজা না ১শ গ্রাম অথবা ২শ গ্রাম এর মত হবে । আমি বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি ।

কাশিয়ানী এর আরও খবর: