ফলোআপ, বড়াইগ্রামে সংবাদ প্রকাশের পরে অসহায় নরেশ চন্দ্রের পাশে উপজেলা প্রশাসন
স্টাফ রিপোর্টার
জাহিদ হাসান
নাটোরের বড়াইগ্রামে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের জোয়াড়ী গ্রামের অসহায় নরেশ চন্দ্র প্রামাণিকের পাশে উপজেলা প্রশাসন। তার একমাত্র আশ্রয়স্থল জরাজীর্ণ ভাঙ্গা টং দোকান এবং তার বেদখল হওয়া জমি সরজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, এবং সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি)মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া। উল্লেখ্য গত ৬ নভেম্বর জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে শনিবার ১৬ নভেম্বর বিকেলে জোয়াড়ী বাজারে দোকান এবং তার বেদখল হওয়া জমি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেন তারা,
পরিদর্শন শেষে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান ৭৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ নরেশ চন্দ্র যুগের পর যুগ ধরে ছোট্ট একটা ভাঙ্গা টং দোকানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন,নরেশ চন্দ্রের সঙ্গে যেটা হয়েছে তা অন্যায় অমানবিক,উপজেলা প্রশাসন তাকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
(ভূমি) মোঃআশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান বড়াইগ্রামএ যোগদানের পরে আমি বিষয়টি জানতে পারি, উভয় পক্ষকে উপজেলা ভূমি অফিসে আশার নোটিস করি এবং দলিল, ভুমি রেকর্ড সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিবেচনা করে মূল হোল্ডিং এ জমি প্রেরণ করি, তিনি আরো বলেন নরেশ চন্দ্র প্রামাণিকের নামে ১৯৭৪ সালে ভূমি রেকর্ড বিবেচনা করে লিখিত রায় প্রদান করা হয় এছাড়াও আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে অসহায় নরেশ চন্দ্র জানান পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৮২ শতক জমির বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে কোর্টের বারান্দা এবং স্থানীয় মাতব্বরদের দুয়ারে ঘুরছে পৈত্রিক জমিটি ফিরে পাওয়ার আশায়। এলাকার এক মুসলিম পরিবার আমাকে খাবার দেন সেই খাবার খেয়েই দোকানেই শুয়ে থাকি রাতে। তার পরিবারের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, প্রায় ২৫ বছর আগে স্ত্রী মারা গেছে। আমার আপন বলতে কেউ নেই।জোয়াড়ী গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ সরকার জানান, কয়েক যুগ ধরে নরেশ চন্দ্র প্রামাণিক নিজের সম্পদ থাকার পরেও মানবতর জীবন যাপন করছে আমরা এর প্রতিকার চাই এবং তাকে তার সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানাই প্রশাসনের কাছে ।জোয়াড়ী গ্রামের বাসিন্দা তৈয়ব আলী জানান -নরেশ চন্দ্রের কেউ নেই তিনি খুব অসহায় বর্তমান যুগে এ ধরনের মানবতার জীবন যাপন কোন ব্যক্তি করে কিনা আমার জানা নেই, তবে অবশ্যই উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই তারা এই অসহায় ব্যক্তির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তার জন্য।