৩ এপ্রিল, ২০২৪ বিদায় যোতা!

এনফিল্ডের আকাশ আজ অন্যরকম শান্ত।
মার্সিসাইড ডার্বি — লিভারপুল বনাম এভারটন।
হাজারো দর্শকের গর্জন, উত্তেজনার ঝড়।
৭৫তম মিনিটে, হঠাৎ এক পাস আসে বক্সের ভেতর।
বলটা পেয়ে যেই ছেলেটা ছুঁয়ে দিল,
মাঠ কাঁপিয়ে গোল!
দিয়োগো জোটা…! 🔴
তালিতে তাল মিলিয়ে গ্যালারি দাঁড়িয়ে যায়।
লিভারপুল সমর্থকদের বুক জুড়ে তখন শুধুই আনন্দ।
কিন্তু কে জানতো — এটাই ছিলো তাঁর শেষ গোল?
শেষ চিৎকার? শেষ উল্লাস?
সেই দিনটার পর, আর দেখা যায়নি তাঁকে মাঠে।
চোট? সময়? নাকি কিছুই বলার ছিলো না?
দিন যায়… মাস কেটে যায়…
একদিন হঠাৎ খবর আসে —
দিয়োগো জোটা আর খেলবে না।
অবসরে যাচ্ছেন… মাত্র ২৮ বছর বয়সে।
সব যেন থমকে যায়।
কে বলবে, সেই গোলটাই ছিলো বিদায়ের কবিতা?
এভারটনের বিপক্ষে করা সেই গোল —
একটি ক্লাবের ইতিহাসে লেখা রইলো চিরকাল।
লিভারপুল ঘোষণা দেয়,
২০ নম্বর জার্সি আর কেউ পরবে না।
ওটা এখন জোটা’র জন্য সংরক্ষিত।
চিরস্মরণীয়… চিরভাসমান…
তিনি শুধু গোল দেননি,
তিনি এক আবেগ দিয়ে গেছেন —
লাল হৃদয়ের জন্য তাঁর ভালোবাসা,
চিরকাল থাকবে এনফিল্ডের ঘাসে, বাতাসে, গ্যালারিতে।
ধন্যবাদ, দিয়োগো জোটা।
তুমি চলে গেলে, কিন্তু গল্পটা রয়ে গেলো…