রাজধানী পল্লবীতে মেডিকেল ক্যাম্প এলাকায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নেতা মীর ইমরান মিথুনের উদ্যোগে শতাধিক পরিবার এখন নিরাপদ

মোশারেফ হোসেন নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ এক দশক ধরে রাজধানীর মিরপুর পল্লবীর মেডিকেল ক্যাম্প এলাকার শতাধিক পরিবার তাদের বাড়ির ছাদ নিয়ে এক কঠিন সংকটের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছিলেন। ছাদগুলোতে জন্মানো শেওলা থেকে বৃহৎ গাছের উৎপত্তি এবং সেই গাছগুলোর শেকড় বিস্তার ছাদগুলোকে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছিল।
এর ফলে এই সাধারণ পরিবারগুলো সব সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছিলেন। এই পরিবারগুলোর কষ্ট ও ঝুঁকি অনুধাবন করে এবার তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন মানবিক জননেতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর ইমরান হোসেন মিথুন। তিনি নিজ অর্থায়নে এই ঝোপঝাড় ও গাছপালা পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, যা পরিবারগুলোর জন্য অনেকটাই সংকটমুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে।
স্থানীয়রা জানান, মেডিকেল ক্যাম্প এলাকার এই বাড়িগুলোর ছাদগুলো মূলত টিনশেড বা দুর্বল কাঠামোর ওপর নির্মিত। গত দশ বছরে ছাদগুলোতে জমে থাকা শেওলা থেকে বিভিন্ন ছোট-বড় গাছের জন্ম হয়। সময়ের সাথে সাথে এই গাছগুলো বিশাল ঝোপঝাড়ে রূপান্তরিত হয় এবং তাদের শেকড় ছাদের কাঠামোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সামান্য বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ছাদ ধসে পড়ার আশঙ্কায় পরিবারগুলো সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকত। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা চরম উদ্বেগে দিন কাটাতেন।
"আমরা দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর বা অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েছি, কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি," বলেন এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা। "মীর ইমরান হোসেন মিথুন ভাই এখন ছাত্রনেতা থেকে জননেতায় পরিণত হয়েছে। তিনি আমাদের এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছেন, যা আমাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। তার এই উদ্যোগে আমরা এখন অনেকটাই স্বস্তিতে আছি।"
মীর ইমরান হোসেন মিথুন বলেন, আমি এই এলাকারই সন্তান এবং এই এলাকার প্রতিটি মানুষই আমার আপনজন "আমি যখন এই এলাকার মানুষের দুর্দশার কথা জানতে পারি, তখন আমার খুব খারাপ লাগে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করা পরিবারগুলোর জন্য কিছু করা আমার মানবিক দায়িত্ব বলে মনে করেছি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।" তিনি আরও বলেন, "নিজ অর্থায়নে এই ঝোপঝাড়গুলো পরিষ্কার করার কাজটি সম্পন্ন করতে পেরে আমি আনন্দিত। আশা করি, এতে পরিবারগুলো এখন নিরাপদে বসবাস করতে পারবে। ভবিষ্যতেও আমার সাধ্য অনুযায়ী মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।"
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
মিথুন হোসেনের এই মহৎ উদ্যোগে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক স্বস্তি ও আনন্দ ফিরে এসেছে। পরিবারগুলো তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, সমাজের বিত্তবান ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এভাবেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন।