সিলেট বাসীর জন্যে ২০টি আইসিইউ বেড চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আইনি নোটিশ।
এম আব্দুল করিম, সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপতাল বা অন্য স্থানে অন্তত ২০টি আইসিইউ বেড সংবলিত একটি সুরক্ষিত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সিলেট বিভাগের বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন ই-মেইল এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশ পাঠানোর পর আজ বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) তিনি জানান, সিলেটের কৃতি সন্তান সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মঈন উদ্দিন কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী, দুই সন্তান আর দেশের হাজারো মানুষকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কিন্তু এই শেষ নেয়,আরো অনেক চিকিৎসক রয়েছেন করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে।
নোটিশে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারি করোনা বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটও রয়েছে ভয়াবহ ঝুঁকিতে। বৃহত্তর সিলেটে প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস। এই বিশাল অঞ্চলের এত বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য সরকার নির্ধারণ করেছে।
কিন্তু ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবর থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতাল করোনা রোগীর সব স্তরের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সক্ষম নয়। এমনকি সিলেটের প্রায় দুই কোটি মানুষের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালে তাদের জন্য একটি জীবন রক্ষাকারী ভেন্টিলেটরও এ মুহূর্তে চালু নেই বা পরিচালনায় দক্ষ লোকবল নেই বলে জানা গেছে।’
নোটিশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, আপনারা সরেজমিনে শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড, আইসিইউ ইউনিট পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করুন। দ্রুতগতিতে আগামী ২৪ ঘণ্টারর মধ্যে একটা বিশাল বিভাগের করোনা সেবার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি (ভেন্টিলেটর- নেগেটিভ প্রেশার, এবিজি, কার্ডিয়াক মনিটর, প্রভৃতি), সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই, জেনারেটর ইত্যাদি নিশ্চিত করুন। সার্বক্ষণিক মেডিক্যাল টিম (রোস্টার ওয়াইজ কনসালট্যান্ট, এমও, নার্স, আয়া, ক্লিনার), আইসিইউ টিম (সার্বক্ষণিক দক্ষ এনেস্থেশিওলজিস্ট, নার্স, আয়া, ক্লিনার) এর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। জরুরি পরিস্থিতিতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতাল কিংবা শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতাল যেখানেই হোক বিশাল বিভাগের মানুষের জন্য অন্তত ২০টি আইসিইউ বেড সংবলিত একটি সুরক্ষিত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন। নতুবা সিলেটের এ বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর ভোগান্তির সীমা থাকবে না।